Kinetic Green Energy: উন্নতমানের ইলেকট্রিক টু-হুইলার বানাতে চীনা ব্র্যান্ডের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধল এই ভারতীয় সংস্থা

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও যে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে চলেছে তার পূর্বাভাস পেতে বাকি নেই গাড়ি সংস্থাগুলির। আর তাই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর সাথেই এই বৃত্তে প্রবেশ করছে নিত্যনতুন অটোমেকার কোম্পানি। এবার পুণের সংস্থা Kinetic Green Energy & Power Solutions যৌথভাবে চিনা কোম্পানি Aima Technology Group এর সাথে দেশীয় বাজারের জন্য তৈরি করবে ইলেকট্রিক টু-হুইলার। এই ঘোষণাকালে সংস্থাটি জানিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যেই তারা অংশীদারিত্বের এই পথ বেছে নিয়েছে।

কাইনেটিক গ্রীন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার সলিউশনস (Kinetic Green Energy & Power Solutions) আরো জানিয়েছে যে, আগামী দু’বছরের মধ্যে তারা বার্ষিক ৫ লক্ষ বিদ্যুৎ চালিত টু-হুইলার নির্মাণ করবে। এমনকি ২০২৩-এর মধ্যে উভয় সংস্থাই নিজেদের তিনটি নতুন মডেলের স্কুটার বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে। যেগুলি আবার Aima-র নতুন অত্যাধুনিক উচ্চগতির স্কুটারের প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে।

উল্লেখ্য Kinetic Zing ও Kinetic Zoom নামে দুটি ইলেকট্রিক স্কুটার গত বছর লঞ্চ করেছিল দেশীয় কোম্পানিটি। এদিকে আসন্ন ইলেকট্রিক টু-হুইলারের প্রাথমিক মডেলগুলির ভারতে প্রচার এবং বিক্রির দায়িত্ব থাকবে পুণের ব্র্যান্ডটির উপর। এগুলির লঞ্চ আবার সংস্থা দুটি যৌথভাবেই করবে। আগামী এক বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক বাইক ও স্কুটারগুলির উৎপাদনের সক্ষমতা Kinetic ও Aima সম্মিলিতভাবে বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে Kinetic Green-এর কর্ণধার এবং সিইও সুলজ্জা ফিরোদিয়া মোতওয়ানি (Sulajja Firodia Motwani) বলেছেন, “আমাদের সংস্থা ভারতীয় গণ বাজারে উন্নত, উদ্ভাবনী অথচ সাশ্রয়ী মূল্যের বৈদ্যুতিক যানবাহন আনার জন্য নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছি। আমরা বিশ্বের বৃহত্তম এবং শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক ভেহিকেল সংস্থা Aima-র সাথে ব্যবসার অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত এবং একসাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।”

অন্যদিকে Aima Technology-র সভাপতি সু ইউহাঙ্গ (Su Yuhang) বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি দুই সংস্থা একসাথে ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য প্রথম শ্রেণীর পণ্য তৈরি করতে পারব। এবং স্থানীয়করণের মাধ্যমে আমরা একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন করতে পারি, যা বাজারের নেতৃত্বস্থানীয় শক্তি হয়ে উঠতে পারে।”