সংকটে Apple থেকে Xiaomi, ভারতে ছাড়পত্র পেতে দেরি হচ্ছে চীনের তৈরী প্রোডাক্টের

গত জুন মাসে ভারত ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় বেশ প্রভাব পড়েছে আমদানি বা রপ্তানি ব্যবসায়। ভারত সরকার, চীন থেকে আগত বৈদ্যুতিন সামগ্রীর জন্য নিয়মবিধি বেশ জটিল করে তুলেছে, যার ফলে চীন থেকে আসা Apple-এর নতুন iPhone মডেলগুলি ভারতীয় মার্কেটে অনেক দেরিতে আমদানি হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্ট আমদানির ক্ষেত্রে কিছুটা চাপের মুখে পড়েছে Xiaomi, Oppo-র মত সংস্থাও। শোনা যাচ্ছে, এই সংস্থাগুলির বহু পণ্য ছাড়পত্র না পাওয়ায় এখনও আটকে রয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈদেশিক সংস্থাগুলির প্রোডাক্ট ভারতের বাজারে এসে পৌঁছাতে অনেক দেরি হতে পারে। কারণ, এমনিতে BIS (ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস), কোয়ালিটি কন্ট্রোল এজেন্সির কাছে আসা আবেদনগুলিকে সবুজ সংকেত দিতে ১৫ দিন সময় নিত। তবে এখন আমদানিকৃত প্রোডাক্টগুলিকে ছাড়পত্র দিতে BIS, দুই মাস বা তারও বেশি সময় নিতে পারে।

BIS-এর রেজিস্ট্রেশন স্কিমের আওতায়, কিছু নির্দিষ্ট বৈদ্যুতিন পণ্যকে ছাড়পত্র পেতে কিছু নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ করতে হয় – তা সে আমদানি করা হোক বা স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হোক। সংস্থার সার্টিফায়েড ল্যাবরেটরিতে প্রোডাক্টগুলির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, সব ঠিকঠাক থাকলে BIS সেগুলির আবেদন অনুমোদন করে।

জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার অবধি BIS-এর কাছে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ডিভাইসের কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের জন্য ১,০৮০টি অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ৬৬৯টি আবেদন BIS-এর ওয়েবসাইটে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে পেন্ডিং অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আবার কয়েকটি আবেদন, অনুমোদন পাওয়ার জন্য সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে উইস্ট্রন এবং কমপাল ইলেকট্রনিক্সের চীন ভিত্তিক কারখানাগুলি থেকে উৎপন্ন ডিভাইসগুলির আবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে BIS-এর বিলম্বের কারণে Xiaomi, Oppo ইত্যাদি সংস্থাগুলি তাদের স্মার্টওয়াচ আমদানি করতেও বেশ ভোগান্তির মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, BIS, স্মার্টওয়াচের মতো প্রোডাক্টগুলির অনুমোদনে বিলম্ব করছে, অন্যদিকে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক কোম্পানিগুলিকে ভারতেই এই ডিভাইসগুলি তৈরি করতে চাপ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, Xiaomi-কে প্রায় ৩০,০০০ ইউনিট টিভি আমদানির জন্য BIS বিশেষ লাইসেন্স দিতে অস্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থা Samsung-ও একই ধরণের সমস্যার মুখে পড়েছে বলে সূত্রের দাবি।