CNG: পেট্রলের দাম বাড়ার আশঙ্কার মধ্যেই আশার আলো, সিএনজির উপর বিশাল অঙ্কের ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব এই রাজ্যের

খুব শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে প্রাকৃতিক জ্বালানি গ্যাস বা সিএনজি (CNG)-র দাম কমতে পারে। রাজ্য বাজেটে মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৩.৫ শতাংশ থেকে ভ্যাট কমিয়ে ৩ শতাংশে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। যদি এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্যের সিএনজি চালিত গাড়ি ব্যবহারকারীরা যে বিশেষ ভাবে লাভবান হবেন তা বলাই বাহুল্য।

বর্তমানে মুম্বইয়ে কেজি প্রতি সিএনজি-র দাম ৬৬ টাকা, যা দেশের রাজধানী দিল্লির তুলনায় অনেকটাই বেশি (৫৭.০১ টাকা)। এই প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেছেন, ভ্যাটে ছাড় দিলে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকা করে রাজস্বে ঘাটতি হবে সরকারের। মনে করা হচ্ছে, প্রাকৃতিক গ্যাসে চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে ভ্যাট কমানোকে তুরুপের তাস করতে চাইছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। এছাড়া ইতিমধ্যেই যারা এই ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্যও এটি খুশির বার্তা বয়ে আনবে। পাওয়ার-এর কথায়, অর্থনীতি ছাড়াও সিএনজি, পেট্রল-ডিজেলের তুলনায় একটি অধিক পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে উল্লেখযোগ্য।

এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়িকে সিএনজি বা প্রাকৃতিক গ্যাসে চালিত যানবাহনে রূপান্তরিত করা সম্ভব কিনা? এক্ষেত্রে উত্তরটি হবে অবশ্যই সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি সিএনজি কিট বাজার থেকে কিনতে হবে। যেটি গাড়িতে লাগানোর পর তা অনায়াসেই পেট্রল বা ডিজেলের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসেও চলতে সক্ষম হবে।

কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু সংস্থা যেমন Maruti Suzuki, Hyundai, Tata Motors ফ্যাক্টরি-ফিটেড সিএনজি কিট সহ গাড়ির মডেল বাজারে আনছে। বাজার থেকে সিএনজি কিট লাগানোর থেকে কোম্পানির সিএনজি কিট সহ গাড়ি কেনা অধিক লাভজনক। কারণ সিএনজি কিট সহ গাড়ি কিনলে তার ওপর মেলে ওয়ারেন্টি৷ তাছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর এর সার্ভিসিং এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা হয়। যা বাজারের সিএনজি কিটে সচরাচর মেলেনা।

মহারাষ্ট্রের পেট্রলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্তমানে সে রাজ্যে মোট ৪২৩ টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে গুজরাত, সেখানে সিএনজি পাম্পের সংখ্যা ৭৩১। আবার উত্তরপ্রদেশে সেটা ৩৮৪। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে দিল্লিতে সবচেয়ে ঘনঘন সিএনজি স্টেশনের (৪২৪) দেখা মেলে ৷