বিদেশের ট্রেন্ড এবার ভারতেও, ছোট গাড়িতে আগ্রহ নেই, SUV কিনতে লাইন দিচ্ছে ভারতীয়রা

বিশ্ব তথা ভারতের গাড়ির বাজারে ক্রমশই নিজের পাকাপোক্ত জায়গা বানিয়ে চলেছে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল বা এসইউভি (SUV) সেগমেন্ট। এর জনপ্রিয়তার আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে গ্রাহকদের উত্তরোত্তর বেড়ে চলা চাহিদা। ২০২২ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ২ জন সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টের গাড়ি কিনছেন বলে সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে। মানুষ কিনবেন নাইবা কেন! গত পাঁচ বছরে যদি ৩৬ রকমের চোখ ধাঁধানো স্টাইলের এসইউভি গাড়ি এদেশে লঞ্চ হয়ে থাকে, তবে গ্রাহকদের হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। এমন তথ্যই পেশ করা হয়েছে পিটিআই-এর রিপোর্টে।

হালে দেশে কয়েকটি জনপ্রিয় এসইউভি মডেলের চাহিদা এতোটাই বেড়েছে, যে সেগুলির ওয়েটিং পিরিয়ড বাড়তে বাড়তে দু’বছরের বেশি সময়ে গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি বুকিংয়ের অঙ্কটিও ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। করোনা অতিমারির কারণে সমগ্র দেশে গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। কারণ এ সময় অনেকেই গণপরিবহণে যাত্রার চাইতে, ব্যক্তিগত গাড়িকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। আবার দেশের রাস্তার হাল ও বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বড় ও বেশি কর্মঠ গাড়ি যেমন এসইউভি মডেলের প্রতি গ্রাহকরা বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টের বিক্রির রেখচিত্র উর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

আবার এসইউভি মডেলের টপ এন্ড ভ্যারিয়েন্টে প্রিমিয়াম ফিচারের কারণে এর চাহিদাও চোখে পড়ার মতো। ইদানিং কানেক্টেড টেকনোলজি এবং সানরুফ যুক্ত গাড়ির প্রতি গ্রাহকরা বেশি ঝুঁকছেন। ফলে বাজারে এসইউভি গাড়ির মার্কেট শেয়ার হ্যাচব্যাক ও সেডান মডেলের শেয়ারকে কোনঠাসা করছে। এই প্রসঙ্গে দেশের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি সংস্থা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র উচ্চ কার্যনির্বাহী আধিকারিক শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) বলেন, “বিগত কয়েক বছরে এসইউভি সেগমেন্টের ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে।”

শশাঙ্কের সংযোজন, “গাড়ি শিল্পে এসইউভি সেগমেন্টের অবদান প্রায় ১৯ শতাংশ। যা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বেড়ে ৪০% হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।” রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এই সম্পূর্ণ সেগমেন্টে কম্প্যাক্ট এসইউভি অথবা এন্ট্রি লেভেল এসইউভি গাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গত বছর দেশে বিক্রিত মোট ৩০.৬৮ লাখ এসইউভি গাড়ির মধ্যে এন্ট্রি লেভেল এসইউভি বিক্রির সংখ্যা ৬.৫২ লাখ।