গোপনে Signal ব্যবহার করছেন WhatsApp এর মালিক মার্ক জুকারবার্গ, তুঙ্গে বিতর্ক

ফেসবুক (Facebook)-এর সাম্প্রতিক ডেটা কেলেঙ্কারির চর্চা এখনো থামেনি; এরই মধ্যে নতুন করে ট্রোলের শিকার হলেন খোদ সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গ। আসলে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ডেটাবেস ফাঁস হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে দায়সারা উত্তর দিলেও দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ৫৫০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজারের সাথে জুকারবার্গের ব্যক্তিগত তথ্যও (ফোন নম্বর, লোকেশন, জন্ম তারিখ, বৈবাহিক তথ্য এবং ফেসবুক আইডি) হ্যাকার ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, যেখানে ফেসবুকের মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), হালফিল সময়ে ডেটা প্রাইভেসি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইউজারদের অস্বস্তির মুখে পড়েছে, সেখানে জুকারবার্গ স্বয়ং হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী মাধ্যম সিগন্যাল (Signal) ব্যবহার করেন বলে জানা গিয়েছে। আর এই সমস্ত ঘটনা সামনে আসার পরেই জুকারবার্গকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসি-ঠাট্টা শুরু হয়েছে!

রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেভ ওয়াকার নামে এক প্রযুক্তিবিদ তথা সাইবার রিসার্চার একটি টুইটের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে, মার্ক জুকারবার্গের সাথে ফেসবুকের অন্য দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজেস এবং ডাস্টিন মস্কোভিটসেরও ফেসবুক প্রোফাইল ডেটা ফাঁস হয়েছে। পরে, অন্য একটি টুইটে ওয়াকার দাবি করেন যে জুকারবার্গের ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরটি সিগন্যাল অ্যাপে রেজিস্টার্ড রয়েছে। এক্ষেত্রে মার্ক, নিজেদের মেসেজিং মাধ্যম থাকা সত্ত্বেও সিগন্যাল ব্যবহার করে নিজের গোপনীয়তাকে সুরক্ষিত রাখতে চান বলে মশকরাও করেন ওই সাইবার রিসার্চার।

এই খবর সামনে আসার পর, সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়েনি সিগন্যালও! নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন পরিচালিত হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী এই অ্যাপটি, উক্ত বিষয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন টুইটারে শেয়ার করে বলেছে যে, আগামী ১৫ই মে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি বাস্তবায়নের দিন ধার্য হয়েছে; সেক্ষেত্রে এই সময়সীমা যে দ্রুত এগিয়ে আসছে, তার উদাহরন মার্ক নিজেই।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে নিজের প্রাইভেসি পলিসি আপডেট সংক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন প্রকাশ করার পর সারা বিশ্বের ইউজারদের বিরক্তির শিকার হয় WhatsApp। প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে নতুন শর্তাদির দরুন এটি ইউজারদের সমস্ত ডেটা ট্র্যাক করবে, ফলে এটিতে গোপনীয়তা বজায় থাকবে না! এমনকি একাধিক ইউজার নিজেদের ডেটা সুরক্ষার জন্য Signal বা Telegram-এর মত অন্য বিকল্প বেছে নেন। তবে এই ধরণের আশঙ্কাকে আগাগোড়া ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেও, চাপের মুখে পড়ে এই পলিসি কার্যকর করার সময়সীমা ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১৫ই মে-তে নিয়ে যায় Facebook-এর মালিকানাধীন সংস্থাটি। ইতিমধ্যে এটি বহুবার, বহু পন্থা অবলম্বন করে ইউজারদের ভরসা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছে। এমনকি সম্প্রতি এটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের চ্যাট সেকশনে নতুন নীতিমালা সংক্রান্ত ইন-অ্যাপ নোটিফিকেশন সরবরাহ করতেও শুরু করেছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন