Maruti Suzuki তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির উপরে কাজ করছে, একনজরে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

এখনই বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে তারাহুড়ো করবে না মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। বদলে কিছু গাড়ির সিএনজি মডেল লঞ্চ করার ব্যাপারে ভাবছে তারা। গত বছরের অক্টোবরে দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থার বক্তব্যের সারাংশ ছিল এমনই। চাহিদা ও পরিকাঠামোর অভাবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি দেশে ব্যাটারিচালিত গাড়ি নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছিল মারুতি সুজুকি। তবে সংবাদমাধ্যমের তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে ২০২৪-এর মধ্যেই ভারতে সংস্থাটির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মারুতি সুজুকি-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির কোডনাম YY8। এটি একটি ছোট এসইউভি গাড়ি। আজকের প্রতিবেদনে গাড়িটির সম্পর্কে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রইল।

১. বিভিন্ন মহল থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সুজুকি ও টয়োটার যৌথ উদ্যোগে মারুতি-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির ডেভেলপমেন্ট চলছে। মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখেই সেটি আনা হবে। বৈদ্যুতিক মিনি এসইউভি গাড়িটি বিদেশের বাজারে রপ্তানি হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

২. মারুতি ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়ির কাঠামোর ক্ষেত্রে দু’টো মডিউলার প্ল্যাটফর্মের নাম উঠে আসছে – সুজুকি’র লাইটওয়েট হার্টটেক্ট প্ল্যাটফর্ম এবং টয়োটা’র কম দামি ডাইহাতসু নিউ গ্লোবাল আর্কিটেকচার। এগুলো ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেনের জন্য উপযুক্ত।

৩. মারুতি সুজুকি-র আপকামিং ইলেকট্রিক গাড়ি পাওয়ারট্রেন সম্বন্ধীয় তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে সংবাদমাধ্যমের দাবি, গাড়িটির ব্যাটারি তোশিবা’র গুজরাতের কারখানা থেকে সাপ্লাই হতে পারে। এটি একচার্জে ২৫০-৩০০ কিলোমিটার পথ সফর করতে পারবে।

৪. মারুতি সুজুকি-র গুজরাত ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে আপকামিং ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা। সংস্থা বছরে ১.৫ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিতে পারে।

৫. মারুতি সুজুকি-র প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে মধ্যবিত্তদের টার্গেট করা হবে৷ মূল্য রাখা হবে ১০ লাখের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে Tata Punch EV, Citroen Mini EV, এবং Hyundai ও Kia-র আপকামিং ইলেকট্রিক মডেলের সাথে মারুতি সুজুকি-র মিনি এসইউভি-র প্রতিযোগিতা চলবে।