Maruti ও Toyota-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি SUV লঞ্চ হতে পারে পুজোর মরসুমে

বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় আলোরণ জাগানোর দৌড়ে শামিল হয়েছে বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থা। প্রত্যেকের লক্ষ্যই একটি চমকদার ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করে তা বাজারে জনপ্রিয় করে তোলা। এই…

বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় আলোরণ জাগানোর দৌড়ে শামিল হয়েছে বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থা। প্রত্যেকের লক্ষ্যই একটি চমকদার ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করে তা বাজারে জনপ্রিয় করে তোলা। এই উদ্দেশ্যে বহু সংস্থাই অন্য কোম্পানির সাথে হাত মেলাচ্ছে। ঠিক তেমনই দেশের বৃহত্তম যাত্রী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) ও টয়োটা (Toyota) যৌথভাবে বৈদ্যুতিক ও আইসিই গাড়ি আনার জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছে।

মারুতি সুজুকির প্রিমিয়াম ডিলারশিপ চ্যানেল নেক্সা (Nexa)-র মাধ্যমে প্রথম বিক্রি হওয়া S-Cross ক্রসওভার গাড়িটি বাজারে তেমন সাড়া জাগাতে না পারার কারণে এর উৎপাদন বন্ধের পথে হাঁটতে চলেছে সংস্থাটি। যা ২০১৫-তে প্রথম বাজারে পা রেখেছিল। সেই জায়গাতেই আনা হবে মারুতি সুজুকি ও টয়োটার যৌথভাবে তৈরি মিডসাইজ এসইউভি গাড়ি।

এদিকে বিশ্বের কয়েকটি নির্দিষ্ট বাজারে নতুন প্রজন্মের S-Cross গাড়িটি ইতিমধ্যেই ঝলক দেখিয়েছে সুজুকি। মারুতি সুজুকি ও টয়োটার তৈরি গাড়িটির সাংকেতিক নাম Maruti YFG। যেটি এ বছরেই বাজারে লঞ্চের প্রসঙ্গে কানাঘুষো চলছে। খুব সম্ভবত এটি ২০২২-এর দিওয়ালির সময় লঞ্চ হতে পারে। বাজারে উপলব্ধ Hyundai Creta, Kia Seltos, MG Astor, Skoda Kushaq ও Volkswagen Taigun গাড়িগুলির সাথে টক্কর নিতে হাজির হবে Maruti YFG।

২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত মোট ১.৬৫ লক্ষ S-Cross গাড়ি বিক্রি করেছে মারুতি সুজুকি। প্রতি মাসের হিসেবে বিক্রির সংখ্যা দাঁড়ায় ২,০০০। দুটি ডিজেল ইঞ্জিনের বিকল্পে কেনা যেত গাড়িটি – ১.৩ লিটার ও ১.৬ লিটার। দুটি ইঞ্জিনই Fiat-এর থেকে নেওয়া। কম চাহিদার কারণে ১.৬ লিটার ভার্সনের মডেলটির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ১.৫ লিটার K15B পেট্রোল ইঞ্জিন সহ বাজারে আনা হয়েছিল S-Cross।

Maruti YFG স্পেসিফিকেশন

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মারুতি সুজুকি ও টয়োটার তৈরি মিডসাইজ এসইউভি গাড়িটি টয়োটার TNGA-B অথবা DNGA প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হতে পারে। টয়োটার বিদাদির কারখানায় তৈরি হতে পারে গাড়িটি। টয়োটার তরফে YFG-র সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে D22। এতে ব্যবহার করা হতে পারে টয়োটার তৈরি একটি শক্তিশালী হাইব্রিড পেট্রোল ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত থাকবে একটি ছোট ব্যাটারি। আবার নির্দিষ্ট দূরত্ব সম্পূর্ণ ব্যাটারিতে চলতে পারবে এটি। এই ব্যাটারি ইঞ্জিনটিকে আরও বেশি মাইলেজ দিতে সহায়তা করবে।