ভারতে জনপ্রিয় হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি, দশ হাজার EV বিক্রির মাইলস্টোন ছুঁলো Tata Motors

বৈদ্যুতিক গাড়ি যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে তা আরও একবার প্রমাণ করলো Tata Motors। টু-হুইলারের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রেও জনপ্রিয়তা সমানভাবে বাড়ছে। কিছুদিন আগেই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ প্রি-বুকিং করেছিল Ola -র ইলেকট্রিক স্কুটার। এবার চার চাকার ইলেকট্রিক কার বিক্রির ক্ষেত্রেও প্রায় একইরকম সাড়া মিলেছে। নিজেদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি Nexon EV লঞ্চের পর থেকে এখনো পর্যন্ত মোট ১০,০০০ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে নজির গড়লো Tata Motors।

প্রসঙ্গত, গত মাসে টাটার দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি Tigor EV কে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং ফিচার দেখে বোঝা যাচ্ছিল গাড়িটি জনপ্রিয়তা পাবে। সেই অনুমান সত্যি করে টাটা মোটরস এখন ১০,০০০ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির সাফল্যের কথা জানালো। সংস্থার সভাপতি শৈলেশ চন্দ্র (প্যাসেঞ্জার ভেইকেল বিজনেস ইউনিট) এ বিষয়ে বলেছেন, “১০০০ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির এই কৃতিত্ব থেকে বোঝা যাচ্ছে আমাদের তৈরি গাড়িগুলি ক্রেতারা খুবই পছন্দ করছেন। আমাদের ওপর ভরসা রাখার জন্য এবং ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমরা ভীষণই উচ্ছ্বসিত। বর্তমানের ক্রেতারা টাটার বৈদ্যুতিক গাড়ির ভিত্তি প্রস্তর শক্তভাবে স্থাপন করেছেন, আগামী দিনে যা অন্যান্যদের এই পথ অনুসরণ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

আগামী দিনে ক্রেতাদের জন্য আরও পরিবেশবান্ধব গাড়ি নিয়ে আসার লক্ষ্যে এগোচ্ছে সংস্থাটি। বিশ্বকে সবুজায়ন করে তোলার অদম্য প্রয়াস জারি রাখতে সংস্থার অন্যান্য শাখা যেমন টাটা পাওয়ার, টাটা কেমিক্যালস, টাটা অটোক্যাম্প, টাটা মোটরস ফাইন্যান্স এবং ক্রোমা – এদের একসাথে নিয়ে এগিয়ে চলবে টাটা। তবে শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনেই আটকে নেই পাশাপাশি চার্জিং স্টেশন তৈরিতেও সমান উৎসাহ দেখিয়েছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই দেশের ১২০ টি শহরে ৭০০ -রও অধিক চার্জিং স্টেশন রয়েছে টাটার। আগামী দিনে এর সংখ্যা বাড়ানো এবং এগুলিকে আরো উন্নত করে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।

প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে টাটা মোটরের Ziptron টেকনোলজির ব্যবহার যা অধিক জনপ্রিয় করেছে ক্রেতাদের কাছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এই টেকনোলজির উপর ভর করেই Nexon EV গাড়িটিকে দেশীয় বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে এবার এই টেকনোলজির সাথে যুক্ত হয়েছে GNCAP এর মত অত্যাধুনিক টেকনোলজি। ফলে সদ্য লঞ্চ হওয়া Tigor EV কে ৪-স্টার রেটিং অর্জন করতে বেগ পেতে হয়নি। এছাড়াও গাড়িটিতে মিলেছে ৩০৬ কিমি রেঞ্জের ARAI সার্টিফিকেশন, যা সংস্থার কাছে অতি গর্বের বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন