72,000 টাকাতেই ABS, কম দামে আর কোন কোন বাইকে আছে এই প্রাণ রক্ষাকারী বৈশিষ্ট্য

এবিএস অর্থাৎ অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম আক্ষরিক অর্থেই যেকোনো বাইক কিংবা চার চাকার একটি অন্যতম সেফটি ফিচার্স। আসলে বর্তমান দিনে ব্যবহৃত ডিস্ক ব্রেক এতটাই তাড়াতাড়ি…

এবিএস অর্থাৎ অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম আক্ষরিক অর্থেই যেকোনো বাইক কিংবা চার চাকার একটি অন্যতম সেফটি ফিচার্স। আসলে বর্তমান দিনে ব্যবহৃত ডিস্ক ব্রেক এতটাই তাড়াতাড়ি গতিরোধ করতে পারে যে অনেক সময় উচ্চগতিতে জোরে ব্রেক করার ফলে বাইকের চাকা লক হয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই ত্রাতার ভূমিকা পালন করে এটি। তাই একে “লাইফ সেভার” বলা হয়।

দামি বাইকে উভয় চাকাতেই এবিএস প্রযুক্তি অর্থাৎ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক কালে লঞ্চ হওয়া বেশ কিছু কম দামি বাইকেও শুধুমাত্র সামনের চাকাতেই সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। যা বাস্তবিক দিক থেকে যথেষ্ট কার্যকরী পদক্ষেপ। ২০২২ সালে লঞ্চ হওয়া এই কয়েকটি পকেট সাশ্রয়ী টু-হুইলারের যুক্ত হয়েছে এবিএস সংস্করণ।

Bajaj Platina 110 (দাম – ৭২,২২৪ টাকা)

ভারতবর্ষের বাজারে বরাবরই অল্প দামের মধ্যে নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য সম্বলিত মোটরবাইক লঞ্চ করার কৃতিত্ব রয়েছে দেশীয় সংস্থা বাজাজের। তেমনই ১১০ সিসির বাইকের সেগমেন্টে প্রথমবারের জন্য তারা নিয়ে এসেছে এবিএস প্রযুক্তি। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই এই সেগমেন্টে রাজ করছে প্লাটিনা। তবে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যুক্ত প্লাটিনা ১১০ এবার আরোও শক্তিশালী একটি অপশন।

Pulsar P150 (দাম – ১,১৬,৭৫৫ টাকা)

কমিউটার বাইকের ১৫০ সিসির সেগমেন্ট বর্তমানে এদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সেগমেন্ট যেখানে একাধিক মোটরবাইক রয়েছে বাজাজের। কয়েক সপ্তাহ আগেই এই পোর্টফোলিওতে যুক্ত হয়েছে তাদের দ্বিতীয় পকেট সাশ্রয়ী এবিএস যুক্ত বাইক Pulsar P150।

TVS Apache RTR 160 2V (দাম – ১,১৭,৭৯০ টাকা)

তামিলনাড়ুর দেশীয় সংস্থা টিভিএসকে এতটা সুনাম এনে দেওয়ার পিছনে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে তার অ্যাপাচি সিরিজের বাইকগুলির। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়তই এই সিরিজের বাইকগুলিতে আপডেট দিয়ে থাকে টিভিএস। তেমনি চলতি বছর নতুন ডিজাইন ও উন্নত ফিচারের বলে বলিয়ান হয়ে ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে Apache RTR 160 2V।

Hero Xtreme 160R (দাম – ১,১৮,৬১৬ টাকা)

পিছিয়ে নেই আরেক দেশীয় সংস্থা হিরো মটোকর্প। ১৬০ সিসি সেগমেন্টে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ০-৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করা Xtreme 160R-র নতুন স্টিল্থ এডিশনের দ্বিতীয় সংস্করণ চলতি বছরেই লঞ্চ করেছে তারা। শক্তিশালী ইঞ্জিন, এবিএস, উন্নত গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার সহ সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে এতে।

Bajaj Pulsar N160 (দাম – ১,২২,৮৫৪ টাকা)

এর আগে ১১০ সিসি ও ১৫০ সিসি সেগমেন্ট এর মত ১৬০ সিসি সেগমেন্টেও প্রথমবারের জন্য ধামাকা নিয়ে হাজির হয়েছে বাজাজ। চলতি বছরের আগস্টে সেগমেন্টে প্রথম বৈশিষ্ট্য হিসাবে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সমৃদ্ধ Pulsar N160 লঞ্চ করে তারা। ১৬ পিএস পাওয়ার এবং ১৪.৬৫ এনএম টর্ক আউটপুট যুক্ত অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন এবং শার্প ডিজাইন ও প্রজেক্টর এলইডি হেডলাইট যুক্ত রয়েছে এতে।