স্ন্যাপড্রাগন ৮ সিরিজের নতুন প্রসেসরের প্রথম ফোন হবে Motorola Frontier, থাকবে ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা

গতবছর ডিসেম্বরে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ প্রসেসরের প্রথম ফোন হিসেবে বাজারে পা রেখেছিল Motorola Moto Edge X30, যা লেনোভোর অধীনস্থ ব্র্যান্ডটি কে সর্বপ্রথম কোয়ালকমের লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর যুক্ত ফোন বাজারে নিয়ে আসার শিরোপা জিততে সাহায্য করে। আর সেই খেতাব ধরে রাখতে যে মরিয়া মোটোরোলা, তারই প্রমাণ পাওয়া গেল এক টিপস্টারের বক্তব্য থেকে। তার দাবি, সংস্থাটি এবছরের শেষে তাদের একটি নতুন স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে, যেটিতেও প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করা হবে কোয়ালকমের আরও একটি আসন্ন হাই-এন্ড প্রসেসর।

Qualcomm -এর আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর যুক্ত প্রথম ফোন কি আবারও বাজারে আনবে Motorola?

পরিচিত টিপস্টার ডিজিট্যাল চ্যাট স্টেশন (Digital Chat Station), চীনা মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট Weibo -তে পোস্ট করে মোটোরোলার ফোনে সর্বপ্রথম কোয়ালকমের আসন্ন প্রসেসর ব্যবহার করার বিষয়টি সামনে এনেছেন। পোস্টে টিপস্টার বলেছেন যে, লেনোভোর (Lenovo) মালিকানাধীন এই ব্র্যান্ডটিই প্রথম SM8475 মডেল নম্বর যুক্ত নতুন কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর দ্বারা চালিত একটি স্মার্টফোন লঞ্চ করতে পারে। তিনি এর সাথে আরও যোগ করেছেন যে, এই বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের কোনো এক সময় থেকে এই চিপসেটটির গণ উৎপাদন শুরু হবে। মনে করা হচ্ছে মোটোরোলার এই প্রত্যাশিত ডিভাইসটি হতে পারে মোটোরোলা ফ্রন্টিয়ার (Motorola Frontier), যেটি এই মুহূর্তে চর্চায় রয়েছে। কারণ শোনা যাচ্ছে, এই ফোনটি ২০০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এবং নতুন স্ন্যাপড্রাগন ফ্ল্যাগশিপ চিপসেট সহ আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

জানিয়ে রাখি, কোয়ালকম নতুন একটি স্ন্যাপড্রাগন ৮ সিরিজের চিপসেটের ওপর বর্তমানে কাজ করছে বলে কিছুদিন আগেই জানা যায়। এতে বিদ্যমান স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপসেটের থেকে সামান্য আপগ্রেড দেখা যাবে এবং এটি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (TSMC) দ্বারা ৪ ন্যানোমিটার প্রসেসে তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে জানা গিয়েছে, কোয়ালকম তাদের কিছু স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ প্রসেসরের প্রোডাকশন স্যামসাংয়ের থেকে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, TSMC তে স্থানান্তরিত করেছে। প্রসেসরের জন্য কোয়ালকমের চাহিদার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্যামসাংয়ের উৎপাদন পর্যাপ্ত না হওয়ায় এই পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।