Cryptocurrency: দেশের বড় ক্ষতি করতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি, যুব সমাজ কে সর্তক করলেন প্রধানমন্ত্রী

রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের (Shaktikanta Dad) পাশাপাশি এবার ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। ভার্চুয়ালি আয়োজিত সিডনি ডায়ালগের প্ল্যার্টফর্ম থেকে, বিশ্বের সমস্ত প্রযুক্তি উন্নত দেশগুলিকে ক্রিপ্টো সংস্কৃতির অপব্যবহার রোধে একজোট হতে অার্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

দেশে ত্রিপ্টোর ঊর্ধ্বমুখী জনপ্রিয়তার বিষয়ে বর্তমানে প্রায় সকলেই অবগত। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি, নিত্যনতুন মার্কেটে আসা বিভিন্ন জটিল সাইবার প্রযুক্তি বিষয়ক আলোচনার একটি কেন্দ্র, সিডনি ডায়লগকে মাধ্যম করে প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী যুবসমাজের কাছে ক্রিপ্টো কারেন্সির সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য আবেদন জানালেন। বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায়, সাইবার-এজ প্রযুক্তির বিভিন্ন সুযোগসুবিধা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্বন্ধে বক্তৃতা রাখার পর, দেশের সমস্ত দেশগুলিকে, এদিন, ক্রিপ্টো সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিলেন মোদী। তাঁর কথায়,সমস্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলির উচিত বিটকয়েনের (Bitcoin), ডোজকয়েনের (Dogecoin) মতো ক্রিপ্টোটোকেনগুলির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধে অবিলম্বে একজোট হওয়া। ভুল হাতে পড়লে তা যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, একইসঙ্গে যুবসমাজের পক্ষেও কতখানি বিপজ্জনক সে বিষয়েও দেশগুলিকে কড়া সাবধানবাণী শোনালেন মোদী।

এদিনের বক্তব্যে, ক্রিপ্টো ব্যবহারের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে বিশদে কিছু না জানালেও, দেশ বিদেশের বিশিষ্ট মহল থেকে ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসের মতো কার্যকলাপে ক্রিপ্টোর মদত, দেশীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ও অন্যান্য নানা সম্ভাব্য অপরাধের দিকে নিশানা করা হয়ছে।

অন্যদিকে, ভারত, ক্রিপ্টো নিয়ে পাকাপাকি আইন প্রণয়নের পদক্ষেপের থেকে আর বেশী দূরে নেই। ইতিমধ্যেই, সরকারী আধিকারিকরা ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিল তৈরির কাজে বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। নয়া আইন অনুসারে, পুরোপুরি নিষিদ্ধ তকমা না জুটলেও সোনা, রূপোর মতো অ্যাসেট হিসেবে ব্যবহার হতে পারে ভার্চুয়াল কারেন্সি। তবে, মধ্যবর্তী কোম্পানিগুলির বাড়বাড়ন্তে লাগাম পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্ভবত আসন্ন শীতকালীন বাজেটেই পার্লামেন্টে পেশ হতে পারে এই ক্রিপ্টো সংক্রান্ত বিলটি যা দেশে অবাধ ক্রিপ্টো লেনদেনে রাশ টানবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ চীন সমস্ত ক্রিপ্টো ট্রেডিং এবং মাইনিং এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে, তথ্য বলছে সেই পথে না গিয়ে আপাতত মধ্যপন্থাতেই আস্থা রাখছে ভারত।