পয়লা মে থেকে এটিএম, রেল, বিমান ও পেনশনভোগীদের জন্য চালু হল নতুন নিয়ম
আজ অর্থাৎ ১ মে থেকে চালু হয়ে গেল এটিএম, রেল, বিমান এবং পেনশনভোগীদের জন্য বেশ কিছু নতুন নিয়ম। যদিও লকডাউনের কারণে রেল ও বিমান পরিষেবা বন্ধ, তবে এখানেও নতুন কিছু নিয়ম এসেছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি এই নিয়মগুলি-
পেনশনভোগীরা পাবেন পুরো পেনশন-
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন মে মাস থেকে তার কর্মচারীদের সম্পূর্ণ পেনশন দেওয়া শুরু করতে চলেছে। অবসরের সময় যারা কমিউটেশন গ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি কমিউটেশন হলো এমন একটি পদ্ধতি যাতে আপনার পেনশনের বেশ কিছুটা অংশ অবসরের সময় আপনাকে একসাথে দিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিমাসে ভারতের ৬,৩০,০০০ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। এবং এতে সরকারের প্রায় একসাথে ১,৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
এছাড়াও রিটায়ারমেন্ট ফান্ড বডি তাদের কর্মচারীদের ইতিমধ্যেই মাসিক প্রভিডেন্ট ফান্ড রিটার্ন দাখিল করার অনুমতি দিয়েছে। এবং এর জন্য গ্রাহকদের বকেয়া টাকা মেটানোর আপাতত প্রয়োজন নেই। করোনা ভাইরাস এর এই সংকটের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য লকডাউন এর মধ্যে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৬ লক্ষ ফার্ম উপকৃত হবে।
পাশাপাশি ইসিআর এখন গ্রাহকরা নিজেরা জমা দিতে পারেন। এই ইসিআর গ্রাহকের ক্রেডিটে এবং গ্রাহকের কন্ট্রিবিউশন শেয়ারে সাহায্য করবে। নির্দিষ্ট সময়ে ইসিআর দাখিল করলে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা প্যাকেজের দরুন কম বেতন প্রাপ্ত কর্মচারীদের খাতায় কেন্দ্র সরকারের দ্বারা ২৪% মজুরি ক্রেডিট হবে।
রেলের জন্য নিয়ম :
যদিও এখন রেল পরিষেবা সচল নেই, তবে ভারতীয় রেল লকডাউনের মধ্যে নতুন একটি নিয়ম এনেছে। এবার থেকে যাত্রার ৪ ঘন্টা আগে যাত্রীরা বোর্ডিং স্টেশন পরিবর্তন করতে পারবে। এর আগে যাত্রার ২৪ ঘন্টা আগে এই সুবিধা পাওয়া যেত।
বিমানের নতুন নিয়ম :
এক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়া কেবল নতুন নিয়ম এনেছে। তারা জানিয়েছে, যাত্রীরা যদি টিকিট বুক করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করে তাহলে ক্যান্সেলেশান চার্জ নেওয়া হবেনা।
এটিএম এর নিয়ম-
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এটিএমের ক্ষেত্রেও বেশকিছু নতুন প্রণালী নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক ব্যবহারের পর এটিএমকে সংক্রমণমুক্ত করার জন্য প্রত্যেকটি এটিএম পরিষ্কার করা হবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়মটিকে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ এবং তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে শুরু করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস হটস্পটে এবার থেকে একটি এটিএম দিনে দুবার পরিষ্কার করা হবে। যদি স্বচ্ছতা নিয়ম পালন না করা হয়, তাহলে ওই এটিএম কাউন্টারটিকে সিল করে দেওয়া হবে।