বিক্রি হওয়া গাড়ির 84% ইলেকট্রিক, এই দেশে পেট্রল-ডিজেল চালিত যানবাহন বিলুপ্তির পথে

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে। সময়ের সাথে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও গণহারে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্টই ঘাটতি নজরে পড়ছে। যার প্রধান অন্তরায় হিসেবে মনে করা হচ্ছে এই জাতীয় গাড়ির উচ্চমূল্য এবং অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন। বিশ্বের একাধিক দেশের মধ্যে ভারতেও এই কারণ দুটিই ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির পথে বাধার সৃষ্টি করছে। তবে এই সমস্তরকম জটিলতাকে পেছনে ফেলে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিতে তাক লাগিয়েছে ইউরোপের উত্তর প্রান্তের দেশ নরওয়ে। জানুয়ারিতে ওই দেশে মোট ৮,০০০টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে যার মধ্যে ৮৪ শতাংশই হল বিদ্যুৎচালিত। যা দেখে মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

এদিকে ২০২৫-এর মধ্যে নরওয়েতে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। একই সাথে ২০২২-এর মধ্যে সকল প্রকার যানবাহনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি ৮০ শতাংশে পৌঁছানোর অভীষ্ট নিয়ে এগোচ্ছে নরওয়ে। সেই দেশে যেভাবে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির বিক্রি বেড়ে চলেছে, এভাবে চলতে থাকলে এই লক্ষ্য পূরণ করতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না বলেই ধারণা। নরওয়ের ইনশন কাউন্সিল ফর রোড ট্রাফিকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে নরওয়েতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি আগের বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৫৩% বেশি হয়েছে।

এমনকি গত বছর বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিতে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়িকে পেছনে ফেলে বিশ্বে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে নরওয়ে। এইজন্য সে দেশের সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভর্তুকিকে অবদানকে উল্লেখ করা হয়েছে। গত মাসে নরওয়েতে মাত্র ৩৮৭ টি আইসিই (ইন্টার্নাল কম্বাশান) ইঞ্জিন চালিত গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা সত্যি অবাক করার মতোই! বৈদ্যুতিক ও পেট্রল-ডিজেল চালিত যানবাহন ছাড়া বিক্রিত বাকি গাড়িগুলি হল হাইব্রিড প্রযুক্তির।

নরওয়েতে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত গাড়িগুলির মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল Audi Q e-tron, Hyundai Ioniq 5 ও BMW iX। এদিকে ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক গাড়িগুলির উপর আরোপিত কর লাঘব করার কথা ঘোষণা করেছে নরওয়ে সরকার। এর ফলেই এই ধরনের গাড়ির বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।