অরুণাচল প্রদেশ সমস্যার সমাধান করলো Xiaomi, অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ

সম্প্রতি ভারত ও চীনের পারস্পারিক সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। দুই দেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনায় এর প্রভাব পড়ছে।ক্রমাগত চীনা আগ্রাসনই যে এই ক্ষতির জন্য দায়ী, অধিকাংশ মানুষের আজ সেরকমই বিশ্বাস। তবে একইসাথে বিশ্ববাজারে তীব্র প্রতিদন্দ্বিতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কিছু বিশেষজ্ঞ, যা আমাদের প্রতিদিনের সহজ, সাধারণ জীবনের আবহকেও অস্থির করে তুলছে।

চীনা অ্যাপ ব্যানের পাশাপাশি আমাদের কেন্দ্রের নির্বাচিত সরকার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। চীনা পণ্য ব্যবহারের বদলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরো বেশী পরিমাণে ভারতীয় দ্রব্য ব্যবহারের কথাও বলেছেন কোন কোন প্রতিনিধি। এর মধ্যেই গত শনিবার চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির আচরণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। Xiaomi Weather অ্যাপের আপডেটে ভারত থেকে বেমালুমভাবে গায়েব করে দেওয়া হয় অরুণাচল প্রদেশকে! এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা শাওমির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। টুইটারে তাদের অনেকেই শাওমির এই অন্যায় আচরণের কারণ জানতে চান।

এই সমবেত প্রতিবাদের মুখে পড়ে এদিন Xiaomi India -র পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, তাদের এই ত্রুটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। তারা ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করেছে। দেশের প্রতি সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের আবেগকে সম্মান জানিয়ে এই অনভিপ্রেত ভুলের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

IANS কে দেওয়া একটি বিবৃতিতে শাওমির মুখপাত্র জানিয়েছেন – ‘আসলে আমাদের ওয়েদার অ্যাপটি তথ্যের জন্য একাধিক থার্ড পার্টি সোর্সের ওপরে নির্ভরশীল। সেই কারণেই ওয়েদার আপডেটে একাধিক লোকেশন সম্পর্কে ত্রুটিপূর্ণ তথ্য পরিবেশনের ঘটনায় আমরা দুঃখিত।’

কেবলমাত্র যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই যে ইটানগর, তাওয়াং, পসিঘাটসহ অরুণাচল প্রদেশের একাধিক স্থান তাদের অ্যাপে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা, শাওমি ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আগামীদিনে এই ত্রুটি সংশোধন করে সকল ভারতীয় নাগরিকদের সর্বোৎকৃষ্ট পরিষেবা পৌঁছে দিতে তারা বদ্ধপরিকর, সেই কথাও এদিনের বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই বিবৃতির পরেও অনেক নেটিজেন অবশ্য Xiaomi কে বিদ্ধ করে টুইট করেছেন, ‘এরপর ভারতের অন্য কোন অংশ অ্যাপ্লিকেশন থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়ার আগে খেয়াল রাখবেন, নইলে বলা যায়না ভারতের বাজারে আপনাদের স্মার্টফোনও হয়তো রাতারাতি ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারে!’