EV Subsidy: যে কোনও ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ির উপরে 15% ভর্তুকি পাবে রাজ্যবাসী, ঘোষণা ওড়িশা সরকারের

বেশি দামের কারণে অনেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ির নাম শুনলেই নাক কুঁচকাচ্ছেন। এই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যতই কম হোক না কেন, এর আকাশছোঁয়া দাম শুনলেই অনেক গ্রাহকই ইলেকট্রিক যানবাহনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। পাশাপাশি অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশনের বিষয়টি তো রয়েছেই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার FAME-II প্রকল্প দুটি ইলেকট্রিক গাড়িতে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছে, তা সত্ত্বেও এই জাতীয় গাড়ির দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরেই। তবে যদি আপনি ওড়িশার বাসিন্দা হয়ে থাকেন, আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। এবার বৈদ্যুতিক গাড়িতে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পট্টনায়েক সরকার। এই জাতীয় গাড়ির দামের ১৫% অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে।

টু-হুইলারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা এবং তিন ও চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১০,০০০ টাকা ও ৫০,০০০ টাকার ভর্তুকি মিলবে বলে জানিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। কেন্দ্রের নীতি আয়োগ (Niti Aayog)-এর পরামর্শ মতো এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ রাজ্যের ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি ২০২১ অনুযায়ী এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে উড়িষ্যার বাণিজ্য এবং পরিবহণ দপ্তর।

১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে এই ভর্তুকি কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ এই তারিখে অথবা তার পরে যে সমস্ত রাজ্যের নাগরিক বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি কিনেছেন, তাঁরা এই ভর্তুকির দাবিদার বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। এই সমস্ত উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট আরটিও (RTO)-র মাধ্যমে ভর্তুকির নগদ পৌঁছে যাবে। এই ভর্তুকির প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

পাশাপাশি রাজ্যের বৈদ্যুতিক গাড়ির বেচাকেনা, ভর্তুকির হিসাব এবং লোনের ক্ষেত্রে ছাড় সহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য এক ক্লিকে জানার জন্য একটি পোর্টাল বানানো হবে বলে জানিয়েছে উড়িষ্যা প্রশাসন। এছাড়া, গত বছর অক্টোবরে রাজ্যের সমস্ত বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি এবং কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্যদিকে রাজ্যের ইভি চার্জিং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে পট্টনায়ক সরকার।