Ola বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য এশিয়ার বৃহত্তম ব্যাটারি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলছে এ দেশে, প্রায় 4000 কোটি টাকা লগ্নি

যে কোনো বিষয়ে বেনজির পদক্ষেপ গ্রহণ করাতে ভারতের অন্যতম চর্চিত ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাতা ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর জুড়ি মেলা ভার। বলতে গেলে সংস্থাটি যেন ক্ষুদ্র কিছু করতে শেখেইনি। তাদের সবসময় লক্ষ্য বড় কিছুর দিকে। তামিলনাড়ুতে বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটারের কারখানা ফিউচার ফ্যাক্টরি নির্মাণের পর এবার বেঙ্গালুরুতে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি ইনোভেশন সেন্টার অর্থাৎ বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সেলের উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ছে ওলা। একথা সংস্থার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল (Bhavish Aggarwal) টুইট মারফত জানিয়েছেন।

ব্যাটারি সেলের নতুন গবেষণা কেন্দ্র তৈরির জন্য মোট ৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩,৯৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। তাদের এই উদ্ভাবন কেন্দ্রে ৫০০-র বেশি প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষণাকারীকে নিয়োগ করা হবে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। সামনের মাস থেকেই এটি চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। টুইটারে ভাবিশ লিখেছেন, “আমি খুব উৎসাহিত হয়ে ব্যক্তিগতভাবে কিছু শেয়ার করছি। বেঙ্গালুরুতে একটি অত্যাধুনিক ব্যাটারি উদ্ভাবন কেন্দ্র গড়ে তুলছি আমরা। যা হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম। সবচেয়ে উন্নত হল এর গবেষণা ও উন্নয়নের সুবিধা। ৫০০+ প্রযুক্তিবিদ গবেষণাগারে কাজ করবে। ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে।”

ভাবিশের শেয়ার করা ভিডিয়োটিতে নতুন উদ্ভাবন কেন্দ্রে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ব্যবস্থাপনা যেমন ফিজিক্যাল ক্যারেক্টারিস্টিক ল্যাব, এক্স-রে ফটো ইলেকট্রন স্পেক্ট্রোস্কপি মেশিনের ঝলক দেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সংস্থাটি দাবি করেছিল তাদের মেড-ইন-ইন্ডিয়া লিথিয়াম আয়ন সেল, ব্যাটারির সার্বিক আয়ু এবং কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলবে। আবার ভারতীয় আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি হবে এগুলি।

বর্তমানে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি সেলের জন্য মূলত চীন ও কোরিয়ার মতো দেশগুলির ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় দেশীয় সংস্থাগুলিকে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ওলার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারি সেল ভারতকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

অন্য দিকে, সম্প্রতি ওলা ঘোষণা করেছে তারা ভারতের সবচেয়ে ‘স্পোর্টি ও স্টাইলিশ’ বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে নিয়ে আসবে। এমনকি বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে সেগুলি এতটাই উন্নত হবে যা এদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বলে দাবি করা হয়। ওলার প্রথম ইলেকট্রিক গাড়িটি হতে পারে চার দরজা বিশিষ্ট সেডান গোত্রের।