Ola S1 Pro নিয়ে ফের অভিযোগ, কেনার তিন মাসের মধ্যে সাইড স্ট্যান্ড ভাঙল

ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric) স্কুটারের গুণগত মান আরও একবার বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন। কিছুদিন আগে বাম্পারে উঠতেই চাকা ভেঙে টায়ার বেরিয়ে আসার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিল তারা। এবার Ola S1 Pro স্কুটার কেনার তিনমাসের মধ্যে সাইড স্ট্যান্ড ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ। নিম্নমানের প্লাস্টিক দিয়ে সাইড স্ট্যান্ড তৈরির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। সাইড স্ট্যান্ড ভেঙে যাওয়া নীল রঙের S1 Pro স্কুটারটির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, স্ক্র্যাচের হাত থেকে রক্ষা করতে এক টুকরো কার্ডবোর্ডের উপর শোয়ানো রয়েছে স্কুটারটি। ভেঙে যাওয়া সাইড স্ট্যান্ডটি বাস্তবেই যে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, তাও দেখানো হয়েছে। সূত্রের খবর সাইড স্ট্যান্ড ভেঙে যাওয়ার পর স্কুটারের মালিক ওলার রোডসাইড অ্যাসিস্টেন্সকে কল করেন। অ্যাসিস্টেন্সের অকুস্থলে পৌঁছাতে ৩ ঘন্টা সময় লাগে। তাজ্জবের বিষয়, সামান্য স্ট্যান্ড পাল্টে দেওয়ার জন্য ওই গ্রাহকের কাছ থেকে তিনদিন সময় চেয়ে নিয়েছে ওলা। স্ট্যান্ডের গুণগতমান দেখে বহু গ্রাহক হতাশা উগড়ে দিয়েছেন মন্তব্য বক্সে।

সম্প্রতি ধীর গতিতে চালানো সত্ত্বেও S1 Pro-র সামনের সাসপেনশন ভেঙে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই পোস্টে একাধিক গ্রাহক নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেন। যদিও সংস্থার তরফে এই ঘটনার সম্পর্কে এ পর্যন্ত কোনো সাফাই পাওয়া যায়নি। শুধু বলা হয়েছিল, ‘এভাবে একটি টু-হুইলারের সাসপেনশন ভেঙে যাওয়া অতি বিরল ঘটনা।’ স্কুটারের বডি থেকে সামনের চাকা এবং হুইল সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল ছবিতে। বলাই বাহুল্য, এই ঘটনাটি যদি উচ্চগতিতে চালানোর সময় ঘটত, তবে চালককে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো।

ওলার তরফে একটি অফিশিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “Ola-র কাছে যানবাহনের নিরাপত্তা এবং গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ওলার ৫০ হাজারের বেশি স্কুটার রাস্তায় চলাচল করছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের স্কুটার ভারতে ৪৫০ লক্ষ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা পার করেছে। ফ্রন্ট ফর্ক ভেঙে যাওয়ার যে অঘটনের কথা জানা গিয়েছে, তার জন্য অন্য কোনো বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা দায়ী। আমাদের সমস্ত স্কুটার ভারতের বিভিন্ন ধরনের পথ এবং জলবায়ুতে কঠিন ভাবে পরীক্ষিত।”

এদিকে কিছুদিন আগেই ভারত সরকার ওলার বৈদ্যুতিক স্কুটারের ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে ত্রুটির কথা জানিয়েছিল। স্কুটারে নিজে থেকেই আগুন ধরে যাওয়ার পেছনে যেটি দায়ী। অপর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল দাম কম রাখতে সংস্থাটি নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করছে তাদের স্কুটারে। এই প্রেক্ষিতে সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছিল সরকার। অন্যদিকে, নিজস্ব ভাবে চালানো ওলার তদন্তে উঠে আসে ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে কোনো গলতি নেই। স্কুটারে বাইরের বিচ্ছিন্ন তাপের কারণে আগুন ধরেছিল।