ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুটার উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির জন্য সিমেন্সের সাথে হাত মেলালো OLA

আজ ক্যাব অ্যাগ্রিগেটর সংস্থা ওলা (OLA) বিশ্বের বৃহত্তম স্কুটার উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জার্মান কনগ্লোমারেট সিমেন্সের সাথে হাত মেলানোর কথা ঘোষণা করেছে। উল্লিখিত ঘোষণার সাথে…

আজ ক্যাব অ্যাগ্রিগেটর সংস্থা ওলা (OLA) বিশ্বের বৃহত্তম স্কুটার উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জার্মান কনগ্লোমারেট সিমেন্সের সাথে হাত মেলানোর কথা ঘোষণা করেছে। উল্লিখিত ঘোষণার সাথে দাবি করা হয়েছে, বৈদ্যুতিন যানবাহনের জন্য আসন্ন কারখানাটি ভারতের সবচেয়ে উন্নত ইলেকট্রিক ভেহিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি হবে। প্রসঙ্গত, গতমাসে, ওলা ২,৪০০ কোটি টাকা লগ্নির মাধ্যমে এই ফেসিলিটি গড়ে তোলার জন্য তামিলনাড়ু সরকারের সাথে একটি মৌ সাক্ষর করেছিল। কারখানা তৈরি হয়ে যাওয়ার পর সেখানে ১০,০০০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

তামিলনাড়ুতে ওলার এই ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে প্রাথমিকভাবে ২ মিলিয়ন ইউনিট অ্যানুয়াল ক্যাপাসিটি থাকবে। তাই এটি হয়ে উঠবে বিশ্বের বৃহত্তম স্কুটার উৎপাদন কেন্দ্র। ফ্যাক্টরি থেকে উৎপাদিত বৈদ্যুতিন স্কুটার ইউরোপ, ব্রিটেন, লাতিন আমেরিকা, অস্টেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মূল বাজারের পাশাপাশি ভারতেও গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ করা হবে।

ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ নীতিতে নির্মিত বিশ্বমানের এই অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে বিভিন্ন কার্য পরিচালনার জন্য ৫,০০০ রোবট মোতায়েন করা হবে। সিমেন্স বলেছে, অংশীদারিত্বের অধীনে, প্রকৃত কার্যক্রমের আগে পণ্য ও উৎপাদন ডিজিটালাইজ ও বৈধকরণের জন্য ওলা সিমেন্সের ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল টুইন ডিজাইন এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সলিউশন অ্যাক্সেস করতে পারবে।”

কোম্পানি জানিয়েছে, কাঁচামাল থেকে শুরু করে সেগুলির কারখানার অভ্যন্তরীন স্টোরেজে পৌঁছানো, প্রোডাকশান লাইনে থেকে ঘুরিয়ে ট্রাকে বোঝাই করা, সমস্ত কিছুই সর্বাধিক দক্ষতার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। সবচেয়ে কার্যকর উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরিতে ও ওলার গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ মানের পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে এই উন্নত প্রযুক্তি সিস্টেম ওলার কর্মীদের সাথে মিশে নিখুঁত সমন্বয়ে কাজ করবে।

সিমেন্সের সাথে গাঁটছাড়া বাঁধার ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওলার সিইও ভাবিশ আগরওয়াল বলেছেন, “ওলা ভারতের সর্বাধিক উন্নত উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সিমেন্সের সাথে অংশীদারি করতে পেরে আনন্দিত এবং এটি ওলার গ্লোবাল হাব হবে, এবং মান, স্কেল, এবং দক্ষতার একটি মানদন্ড স্থাপন করবে। যা বিশ্বমানের যুগোপযোগী পণ্য নির্মানে ভারতের সক্ষমতা প্রদর্শন করবে।”