Pulsar 250 স্রেফ ট্রেলার, Bajaj আগামী বছর 150 ও 200 সিসি-র নতুন Pulsar নিয়ে আসবে

২০০১ সালে Pulsar 150 ও Pulsar 180-এর হাত ধরে পালসার ম্যানিয়ার সূত্রপাত। তার কুড়ি বছর পরেও পালসার জ্বরে আক্রান্ত দেশ-বিদেশের বাইকপ্রেমীরা। কিন্তু গত সপ্তাহে ২৫০ সিসি-র Pulsar F250 (সেমি-ফেয়ার্ড) ও N250 (নেকেড) লঞ্চ হওয়ার পর সেই তাল যেন কিছুটা হলেও কেটেছে। বিক্রি এখনও চালু হয়নি। রাইডের রিভিউ আসাও এখনও বাকি। কিন্তু তা সত্বেও নতুন বাইকগুলিতে পালসার ব্র্যান্ডের ঐতিহ্যের ছিটেফোঁটাটুকুও নেই বলে নিরাশা প্রকাশ করছেন অনেকেই। এমনকি, Pulsar F250 ও N250-এর আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখার সময় কীভাবে মন্তব্য বক্সে হতাশা উগড়ে দিচ্ছিলেন নেটাগরিকরা, তা প্রকাশ্যে এসেছিল।

হাইপ ধোপে টিকল না। ডিজাইন এর ওর থেকে কপি করা। ২৫০ সিসি-র বাইকে ফাইভ-স্পিড গিয়ারবক্স এবং সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস! সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এরকম উক্তি দেখা গিয়েছিল সর্বত্রই। যদিও নতুন মডেলগুলি বাজার কাঁপাবে বলেই আশাবাদী বাজাজ কর্তৃপক্ষ। এবার লক্ষণীয় বিষয় হল, নতুন পালসারের লঞ্চ ইভেন্টে বাজাজ অটোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজ বলেছিলেন, নতুন প্রজন্মের ১৫০ সিসি অথবা ২০০ সিসি পালসার বাজারে আনার বিষয়টি আপাতত বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। ঘটনাচক্রে, অগস্টেই রাজীব বাজাজ জানিয়েছিলেন, আগে ২৫০ সিসি-র নতুন পালসার আনি। তারপর এক বছরের মধ্যে ছোট পালসার মডেলেরও আত্মপ্রকাশ ঘটবে।

এতএব, আত্মবিশ্বাসের সাথেই ধরে নেওয়া যায়, ২০২২-এ উৎসবের মরসুমের মুখেই এন্ট্রি নিতে পারে নতুন Pulsar 150। তারপরে কোনও এক সময়ে নতুন Pulsar 200। যদিও এখনই নির্দিষ্টভাবে দিনক্ষন সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। নেকেড রোডস্টার N250-এর ডিজাইনের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের Pulsar 150-র সাদৃশ্য থাকতে পারে। অন্য দিকে, Pulsar F250-এর স্টাইলিংয়ের সাথে Pulsar 200-এর মিল থাকতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করছে ২৫০ সিসি-র পালসার মডেলগুলি কতটা জনপ্রিয় হয়।

প্রসঙ্গত, বাজাজ তাদের ডমিনার লাইনআপের অধীনে ৩০০ সিসি ও তার উপরে ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির বাইক এনেছে। এর ফলে ২৫০ সিসি-র থেকে বেশি শক্তিশালী পালসার মোটরসাইকেল আসার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই বললেই চলে।