Oppo Electric Car: ওপ্পো’র বৈদ্যুতিক গাড়ি আর দু’বছরের মধ্যেই ভারতে

তবে কি গুঞ্জনই সত্য? হ্যাঁ। ২০২৩-এর শেষে অথবা ২০২৪-এর শুরুতে ভারতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি আনতে পারে ওপ্পো (Oppo)। ইতিমধ্যেই তারা সেই কাজে হাত দিয়েছে। তবে শুধুমাত্র ওপ্পো নয়৷ সংস্থাটির অভিভাবক বিবিএকে ইলেকট্রনিক্স (BBK Electronics)-এর ছত্রছাত্রায় থাকা রিয়েলমি (Realme) এবং ওয়ানপ্লাস (OnePlus)-ও এদেশের বাজারে বৈদ্যুতিক যানবাহন আনার রূপরেখা তৈরি করছে।

প্রসঙ্গত, রিয়েলমি ও ওয়ানপ্লাসের গাড়ি নিয়ে আলোচনা অবশ্য নতুন নয়। কারণ ওয়ানপ্লাস যেমন চালকবিহীন গাড়ি, সেল্ফ-ব্যালেন্সিং স্কুটার, ইলেকট্রিক ইউনিসাইকেলের মতো পণ্য এখানে লঞ্চ করার জন্য নতুন ব্র্যান্ডের নাম (OnePlus Life) নথিভুক্তিকরণ সেরে রেখেছে, তেমনই বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ভারতে নতুন ব্র্যান্ডের নাম (Realme Techlife) নথিভুক্ত করেছে রিয়েলমি।

এদিকে দীর্ঘ দিন ধরেই ওপ্পো গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছে বলে খবর ছিল। আবার গত জুন মাসে ‘OCAR‘ বলে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির নাম নথিভুক্ত হওয়ার খবর জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। যার মূল কারণ ছিল OCAR-এর সাথে ওপ্পোর নামের যোগসূত্র (O-Oppo, Car-গাড়ি)।

এখন সূত্র উদ্ধৃত করে ৯১মোবাইলস দাবি করেছে, বিবিকে ইলেকট্রনিক্সের মালিকানাধীন ওপ্পো, রিয়েলমি ও ওয়ানপ্লাস ভারতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি লঞ্চ করার জন্য পরিকল্পনা করছে। তার মধ্যে সবার প্রথমে ওপ্পোর গাড়ি ২০২৩-এর শেষান্তে বা ২০২৪-এর প্রথমার্ধে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতএব, যা সময়সীমা স্থির করা হয়েছে৷ তাতে গুঞ্জন থাকলেও ওপ্পো যে এতটা এগিয়ে গিয়েছে, সেটা অজানা ছিল। যদিও বিবিকে বা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলির পক্ষ থেকে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। হয়তো এটা সব কিছুই গোপন রাখার একটি প্রচেষ্টা।

উল্লেখ্য, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে ও প্রচারে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না কেন্দ্র। এই ধরনের গাড়ি কিনতে ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করতে বাড়ানো হয়েছে ভর্তুকির (Fame-II) পরিমাণ। দেশে চার্জিং স্টেশনের অপ্রতুলতা বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার পথে বড় বাধা। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎচাতি গাড়ি চার্জ দেওয়ার স্টেশন তৈরি করে সেই বাধা কাটানোর চেষ্টা চলছে। সর্বোপরি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজ করলে বিশ্বে ভারতবর্ষই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, যে ভাবে ফিচার ফোনের বাজার দখল করেছিল স্মার্টফোন। সুদূর ভবিষ্যতে একই পদ্ধতিতে স্মার্টফোনের জায়গা নেবে অন্য কোনও হাই-টেক ডিভাইস৷ স্মার্টফোনের অস্তিত্ব অবশ্যই থাকবে। তবে ঘটবে বিবর্তন। আর এই বিবর্তনের মাঝে বাজার থেকে হারিয়ে যেতে পারে বড় বড় নাম। এর ফলে আগামীর কথা ভেবে বৈদ্যুতিক গাড়ির উপরেই বাজি ধরছে অ্যাপল (Apple), শাওমি (Xiaomi)-সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা।

এই ধরনের গাড়ির সাথে স্মার্টফোনের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যও খুঁজে পাচ্ছে তারা। ব্যাটারি, সেমিকন্ডাক্টর, আর ব্রেন পরিচালনার জন্য স্মার্ট সফটওয়্যার। মুঠোফোন যে ভাবে কাজ করছে, অনেকটাই সে রকমই। আর এই কারণেই বর্তমানের অটো জায়েন্টদের পিছনে ফেলে আগামীতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে পোস্টার বয় হয়ে ওঠার স্বপ্নে মশগুল ওপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, ওয়ানপ্লাস অ্যাপল, সকলেই।