Maruti Alto: দেশের সবচেয়ে সস্তা গাড়ির ভবিষ্যৎ সংশয়ে, অল্টো নিয়ে মারুতির চিন্তার কারণ কি?

২০২২-এর সূচনা লগ্নে দেশের গাড়ি যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে সমস্ত গাড়িতে ছ’টি এয়ার ব্যাগ বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণা দেশের সকল গাড়ি নির্মাতা সাদরে গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে অন্যতম দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। সংস্থাটির বক্তব্য এই ৬টি এয়ার ব্যাগ নীতির ফলে দেশের সঙ্কুচিত ছোট গাড়ির বাজারে প্রতিকূল প্রভাব পড়বে। ফলে গাড়ি শিল্পে ছাঁটাই দেখা দিতে পারে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়বে Alto-র মতো জনপ্রিয় কমদামী গাড়ি।

মারুতি সুজুকি জানিয়েছে, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে এন্ট্রি লেভেল হ্যাচব্যাক গাড়ির দাম বৃদ্ধি পাবে। ফলে তা সরাসরি বিক্রিতে প্রভাব ফেলবে। সংস্থাটির জোর দিয়ে জানিয়েছে, ছোট গাড়ির বাজার অতি মূল্য সংবেদনশীল। যা বিগত ক’বছর ধরে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং বিক্রিতে পতন দেখছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় টু-হুইলার ব্যবহারকারীদের পক্ষে ছোট গাড়ি কেনা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই কম দামি ছোট গাড়ির মূল্য বাড়াতে হয়েছে। যার মধ্যে একটি BS6 নির্গমন বিধি চালু হওয়া। যা ২০২০-র এপ্রিল থেকে চালু হয়েছিল। তিনি যোগ করেন, S-Presso সহ একাধিক গাড়ির মডেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিতে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাঁর সাফাই বলেন, “৬টি এয়ারব্যাগ যোগ হলে বাজার আরও ছোট হয়ে আসবে, এটাই ভয়। ফলে গাড়ির ক্ষেত্রে চালকের, রক্ষণাবেক্ষণের, মেরামতি ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের চাহিদাও কমবে।”

গাড়িতে অতিরিক্ত চারটি এয়ারব্যাগ যোগ হওয়ার প্রসঙ্গে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে ভার্গভ বলেন, ছোট গাড়ির দাম ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা বাড়বে। এটি শুনতে তেমন বড় বিষয় মনে না হলেও ছোট গাড়ির ক্রেতাদের কাছে অনেকটাই ফারাক তৈরি করবে। তিনি এ-ও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে এখনও পর্যন্ত এই জাতীয় কোনো বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়নি। তাই সরকারকে ৬টি এয়ারব্যাগের প্রসঙ্গে পুনরায় পর্যালোচনার জন্য আর্জি জানান তিনি।

ভার্গের কথায়, একটি গাড়ির চাইতে টু-হুইলার আরও বেশি অসুরক্ষিত। তাই গাড়িতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। যা টু-হুইলারে অনেক বেশি। সুতরাং, সামগ্রিকভাবে এই সবের মধ্যে লাভ আছে কিনা, তা ভাবার বিষয়।” এদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-তে দেশের জাতীয় সড়কে ১,১৬,৪৯৬টি দুর্ঘটনার মধ্যে ৪৭,৯৮৪ জন গাড়ির যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।