প্রিমিয়াম বাইক কিনতে চাইলে ভরসা রাখুন সেকেন্ড হ্যান্ডে, এই 5 সুবিধা নতুন মডেলে পাবেন না

বড় প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল কেনার স্বপ্ন থাকে প্রত্যেক ভারতীয়রা। রাস্তায় বেরোলে লোকজন তাকাবে এমন বাইক কে না চায়। কিন্তু বেশিরভাগ দামী ও পাওয়ারফুল বাইক যন্ত্রাংশ জুড়ে এদেশে তৈরি করা হয়। অথবা সম্পূর্ণ তৈরি করে আমদানি করার ফলে সরকারকে প্রচুর টাকা কর হিসাবে দিতে চলে যায়। যে কারণে দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে‌‌ চলে আসে। ফলে বাজেটের মধ্যে প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল কিনতে চাইলে সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল আদর্শ হতে পারে। এর পাঁচ সুবিধা নীচে আলোচনা করা হল, যা নতুন মডেলে পাবেনই না।

১. কম দাম

অবশ্যই পুরনো মোটরসাইকেল কেনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর কম দাম। নতুন শোরুম ফেরত বাইকের তুলনায় সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকগুলির দাম যথেষ্টই কম। অনেক সময় নতুন বাইকের দামের অর্ধেকও হয়। তাই যদি একটু ধৈর্য সহকারে সময় নিয়ে আপনার স্বপ্নের মোটরসাইকেলটির সেকেন্ড হ্যান্ড  মডেল কিনতে পারেন, যা হয়তো ব্র্যান্ড নিউ হলে আপনার বাজেট ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হত।

২. অতিরিক্ত খরচ নেই

মনে রাখবেন হাতফেরতা গাড়ি কিংবা বাইকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। রেজিস্ট্রেশন ফি কিংবা রোড ট্যাক্স সহ আরটিওর সমস্ত টাকাই তার প্রথম মালিককে মেটাতে হয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনি এবং সেই বাইকের মালিকের মধ্যস্থতায় স্থির করা মূল্যই আপনাকে বহন করতে হবে। তবে অনেক সময় ট্রান্সফারের জন্য অতিরিক্ত কিছু খরচা করতে হয় , যদিও তা বিক্রেতার সাথে মীমাংসা করে কমানো সম্ভব।

৩. অতিরিক্ত সুবিধা

মনে রাখবেন দামী বাইক নতুন অবস্থায় কেনার পর তিন থেকে পাঁচ বছর অব্দি প্রতিবছর তার মূল্য হ্রাস পেতে থাকে। অর্থনীতির ভাষায় একে বলে “মূল্যের অবক্ষয়”। সমীক্ষা বলছে এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মাথায় বাইকটির দাম প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। তাই বছর পাঁচেকের পুরনো প্রিমিয়াম বাইক নতুন বাইকের তুলনায় অর্ধেক দামে পাওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয় এর কয়েক বছরের মধ্যে যদি তা আপনি ঝকঝকে অবস্থায় পুনরায় বিক্রি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ক্রয়মূল্যের প্রায় সমান বিক্রয়মূল্য হবে।

৪. কম ইন্সুরেন্স খরচ

একটি পুরনো গাড়ির ইন্সুরেন্স পুনর্নবীকরণের খরচ যথেষ্ট কম। সাধারণত নতুন বাইক কিংবা গাড়ির ক্ষেত্রে তার দাম বেশি থাকে বলে বার্ষিক প্রিমিয়ামও তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বাইকের বাস্তবিক মূল্য হ্রাস পাওয়ার জন্য প্রিমিয়ামের পরিমাণও কমে আসে।

৫. অ্যাক্সেসরিজ

সাধারণত দামী স্পোর্টস কিংবা অ্যাডভেঞ্চার বাইক কেনার পর তার মালিক সেই বাইকে অতিরিক্ত কিছু অ্যাক্সেসরিজ যেমন ECU কিট, ট্যাংক ব্যাগ, অক্সিলারি লাইট, পেনিয়ার ইত্যাদি লাগায়। আর সিংহভাগ সময় বাইকের সাথে সমস্ত অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি করে দেওয়া হয়। অতএব আপনার স্বপ্নের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলটিতে অতিরিক্ত অ্যাক্সেসরিজ লাগানোর জন্য একটি টাকাও আপনাকে খরচ করার প্রয়োজন হবে না।