Hero Xpulse 200 কম দামে সেরা অ্যাডভেঞ্চার বাইক, কেনার আগে যে বিষয়গুলি জানা জরুরি

উচুঁ-নিচু পাহাড়ি পথে বাইক নিয়ে ছুটে যেতে মন চায় অনেকেরই। তবে এই সমস্ত খাড়াই পথে চালানোর জন্য প্রয়োজন ডার্ট বা অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল। দেশীয় বাজারে সেরা…

উচুঁ-নিচু পাহাড়ি পথে বাইক নিয়ে ছুটে যেতে মন চায় অনেকেরই। তবে এই সমস্ত খাড়াই পথে চালানোর জন্য প্রয়োজন ডার্ট বা অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল। দেশীয় বাজারে সেরা এন্ট্রি লেভেল অফ-রোডার বাইক হিসাবে Hero Xpulse 200 এর সুনাম দীর্ঘদিনের। পর্যালোচকদের মতে, সাশ্রয়ী মূল্যে ভারতের সেরা অ্যাডভেঞ্চার বাইক এটি। তিন বছরের অধিক সময় ধরে আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিরোর এই কালো ঘোড়া।

একটি ব্র্যান্ড নিউ Hero Xpulse 200 এর দাম সবদিক বিচার করেই রাখা। তবে বাজেট নিয়ে সমস্যা থাকলে এই বাইকটির সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল নেওয়া যুক্তিযুক্ত। পুরনো গাড়ি কেনাবেচার দোকানে বয়স এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এটি ৮৫,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, হিরো এক্সপালসের হাত ফেরতা মডেলের ভালো ও খারাপ দিকগুলো।

Hero Xpulse 200 ভালো দিক

হিরো এক্সপালস ২০০ অফ রোডে চলার উপযুক্ত বাজেট মোটরসাইকেল। এর সামনে রয়েছে স্পোক যুক্ত ২১ ইঞ্চির চাকা। উঁচু নিচু পথে চলার স্টেবিলিটি প্রদান করতে দেওয়া হয়েছে লং ট্রাভেল সাসপেনশন। এছাড়াও বাইকটির সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় ফিচার্স অ্যাক্সেসরিজ। যেমন ইঞ্জিনগার্ড, ক্র্যাশ গার্ড, নাকেল গার্ড, এলইডি ডিআরএল যুক্ত হেডলাইট, এলইডি টেল লাইট, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, নেভিগেশন সিস্টেম ও সিটের নিচে থাকা ইউএসবি চার্জার। এই সবকিছুই বাইকটির স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েন্টেই মিলবে।

হিরো এক্সপালস ২০০ তার সেগমেন্টে সেরা রাইড কোয়ালিটি অফার করে। উঁচু-নিচু রাস্তা থেকে শুরু করে মেঠোপথ, সব রকম পথে অনায়াসে দৌড়তে পারে এটি। চলার শক্তি যোগায় ১৯৯.৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ১৮ বিএইচপি ক্ষমতা ও ১৭ এনএম টর্ক উৎপাদনে সক্ষম। অন্যদিকে, বাইকটির নতুন ফোর ভাল্ভ ভ্যারিয়েন্টের ইঞ্জিন থেকে ১৯ বিএইচপি ও ১৮ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। বাইকটির ইঞ্জিনের পাওয়ার যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।

Hero Xpulse 200 খারাপ দিক

হিরো এক্সপালসের বিএস-৪ ভার্সন রাস্তায় সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও, তা রিফাইন্ড নয়। ঠিকঠাক পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম হলেও, ঝাঁকুনি এবং গরম হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও বাইকটির ফিচারগুলিতে বেশ কিছু খামতি রয়েছে। যেমন এর এলইডি হেডলাইটটির আলো তেমন জোরালো নয় বলে রাতের বেলায় সমস্যার সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ইউএসবি চার্জার পয়েন্টটি সিটের নিচে অবস্থিত হওয়ায় সেটি ব্যবহার করা যথেষ্ট সমস্যা দায়ক। হিরো রাইড গাইন নেভিগেশন অ্যাপ্লিকেশনটি তেমন ভরসা অর্জন করতে পারেনি।

হিরো এক্সপালস ২০০ বেস্ট টপ-এন্ড পারফরমেন্স দেয় না। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ তিন সংখ্যা স্পর্শ করতে পারলেও,  দুই ভাল্ভ যুক্ত ইঞ্জিনে মোটামুটি ৯০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে ক্রুজিং করা আদর্শজনক। নতুন সংস্করণটির ক্ষেত্রে অবশ্য ঘন্টা প্রতি ১০০ থেকে ১০৫ কিমি গতি তোলা সমস্যার নয়।