পুরনো Royal Enfield Thunderbird 350 কিনবেন ভাবছেন? এই বাইকের ভাল-মন্দ জেনে রাখুন

আদ্যপ্রান্ত ক্রুসিং ডিএনএ নিয়ে জন্ম নেওয়া মুষ্টিমেয় কিছু মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি হলো Royal Enfield Hunter 350। লম্বা হুইল বেস, নিচু সিট, ও অসাধারণ স্টেবিলিটি নিয়ে…

আদ্যপ্রান্ত ক্রুসিং ডিএনএ নিয়ে জন্ম নেওয়া মুষ্টিমেয় কিছু মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি হলো Royal Enfield Hunter 350। লম্বা হুইল বেস, নিচু সিট, ও অসাধারণ স্টেবিলিটি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ক্রুজ করার মত যথার্থ মডেল হলো এটি। ২০০২ সালে জন্মগ্রহণ করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০২০-তে যাত্রা শেষ করে এই আইকনিক বাইকটি। মাঝে পরিবর্তন হয়েছে বেশ কিছু। ৩৫০ সিসি দিয়ে পথ চলা শুরু হলেও পরের দিকে আরো শক্তিশালী ৫০০ সিসি ইঞ্জিনযুক্ত মডেলেও যুক্ত হয় থান্ডারবার্ড পরিবারে।

নতুন Meteor 350 এর আবির্ভাবের সাথে সাথেই Thunderbird 350 ক্রুজারের বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও পুরনো গাড়ি কেনাবেচার দোকানে আজও মেলে এই আইকনিক মডেলটি। এই মোটরসাইকেলের হাত ফেরতা মডেল নিতে চাইলে সবার আগে জেনে নিন ভাল ও মন্দ দিকগুলি।

Royal Enfield Hunter 350 ভালো দিক:

রয়্যাল এনফিল থান্ডারবার্ড ৩৫০ প্রকৃতপক্ষে একটি অতি আরামদায়ক ক্রুজার মোটরসাইকেল। নিচু করা ও চওড়া সিট, সুউচ্চ ও প্রশস্ত হ্যান্ডেল বার, খানিকটা সামনের দিকে রাখা পাদানি সবকিছু মিলিয়ে এক অন্যরকম রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স প্রদান করে এই বাইক।থান্ডারবার্ড ৩৫০ কে চলার শক্তি যোগায় ৩৪৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার টুইন্স স্পার্ক টেকনোলজির ইঞ্জিন। পাঁচ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৯.১ বিএইচপি ও টর্ক ২৮ এনএম।

উপরন্তু, এই বাইকের সামনে রয়েছে প্রোজেক্টর লেন্স-সহ হেডল্যাম্প, যা সৌন্দর্যের পাশাপাশি অন্ধকারে দৃশ্যমানতা বাড়াতেও যথেষ্ট সাহায্য করে। এমনকি শেষের সংস্করণগুলিতে ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে এবিএস যুক্ত রয়েছে।  থান্ডারবার্ড ৫০০ এর তুলনায় ৩৫০ সিসির মডেলটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই কম। এমনকি এর আপডেটেড সংস্করণটি অনেক বেশি তেল সাশ্রয়ী ও কম ঝাঁকুনি উৎপন্ন করে।

Royal Enfield Hunter 350 খারাপ দিক:

থান্ডারবার্ড ৩৫০ আসলে অত্যন্ত ভারী। বাইকটির ওজন ১৯৭ কেজি। তাই অবশ্যই এই অতিরিক্ত ওজন বহন করার সক্ষমতা আপনার রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে তবেই এই বাইকটি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আবার ইঞ্জিনে লোয়ার ও মিডরেঞ্জে ভাল পারফরম্যান্স পাওয়া গেলেও, অতিরিক্ত আরপিএমে অর্থাৎ তিন সংখ্যার গতিবেগ স্পর্শ করতে যথেষ্ট ধকল সইতে হয় এই ইঞ্জিনকে। তবে ঘন্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিমি বেগে স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে ক্রুজ করার ক্ষমতা রয়েছে এর।

অতিরিক্ত পুরনো থান্ডারবার্ড মডেলের সবচেয়ে বড় নেগেটিভ পয়েন্ট হলো এটি কেনার কয়েক বছরের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ জনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই সেকেন্ড হ্যান্ড মডেলটি কেনার আগে তার সমস্ত যন্ত্রাংশ ভালো করে যাচাই করে নিন। আর ২০১৫ সালের পুরনো মডেল কেনা থেকে বিরত থাকুন। আরো একটি দিক থান্ডারবার্ড ৩৫০ এর রয়েছে যা একদিকে ভালো ও অন্যদিকে খারাপ বলা চলে। তা হল এর রিসেল ভ্যালু। বাইকটি এতটি জনপ্রিয় যে ২০১৫ সাল বা তার পরের মডেল বর্তমানে এক লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর। এমনকি এই দাম ১.৫ লাখ টাকার কাছাকাছিও চলে যেতে পারে।