Portugal: কয়লা পুড়িয়ে আর বিদ্যুৎ তৈরি নয়, দেশ সচল রাখতে প্রকৃতিবান্ধব শক্তি ব্যবহার করবে পর্তুগাল

পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে ইউরোপের একাধিক দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা পোড়ানো বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এই কয়লা পোড়ানোর পর উৎপন্ন কালো ধোঁয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, যা একটি গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse gas)। পর্তুগাল (Portugal)-ও এবার একই পথের পথিক হতে চলেছে। সেই কারণেই পর্তুগালের কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু পরিবেশবিদগণ। পাশাপাশি তাঁরা এও বলেছেন, যদি দেশের সর্বশেষ কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে কয়লার পরিবর্তে কাঠের গুড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রেও একটি ভুল পদক্ষেপ হবে।

উল্লেখ্য, পর্তুগিজের রাজধানী লিসবন (Lisbon) থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পেগো প্ল্যান্ট (Pego plant)-টি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা পোড়ানো এক সপ্তাহ যাবৎ বন্ধ করে দিয়েছে। পর্তুগাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে চতুর্থতম দেশ, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা পোড়ানো বন্ধ করল। গত ২০১৬ সালে বেলজিয়াম কয়লা পোড়ানো বন্ধের পর সেই পথ অনুসরণ করে অস্ট্রিয়া এবং সুইডেন।

‘ইউরোপ বিয়ন্ড কোল’ অভিযানের পরিচালক ক্যাথরিন গুটমান বলেছেন, “ইউরোপের জলবায়ুতে কয়লার পোড়ানোর ভয়ানক প্রভাব পড়ছে। যা অর্থনীতিতে এবং জনসাধারণের চাহিদাকে প্রভাবিত করছে।” অন্যদিকে ‘এনভায়রনমেন্টাল গ্রুপ জিরো’-র তরফে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় পর্তুগালে পেগো প্ল্যান্টটি হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের ক্ষেত্র। এটি বন্ধ করার মাধ্যমে আমরা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের বৃহত্তম সূত্রটি থেকে মুক্তি পেলাম।”

এদিকে ক্যাথরিন যোগ করেছেন, কয়লার বিকল্প হিসেবে জীবাশ্ম গ্যাস অথবা অপ্রচলিত বায়োমাস যাতে ব্যবহার করা না হয় সেদিকটা গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় পেগো বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সম্প্রতি দরপত্র ডাকা হয়েছেz যেখানে অপ্রচলিত বায়োমাস ব্যবহারের কথা জানিয়েছে লগ্নিকারীরা।