Realme C53 vs Redmi Note 11S: ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার রিয়েলমি নাকি রেডমি ফোন সেরা হবে

জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড Realme হালফিলে তাদের C-সিরিজের অধীনে একটি নয়া হ্যান্ডসেট ভারতে লঞ্চ করেছে। এটি Realme C53 নামে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং দামের তুলনায় একাধিক উল্লেখযোগ্য ফিচার অফার করে। যেমন এটি মিনি-ক্যাপসুল ডিজাইনের ডিসপ্লে সহ এসেছে। এছাড়া এই ফোনে – ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে, সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, সর্বোচ্চ ১২৮ জিবি স্টোরেজ, এবং ৩৩ ওয়াট প্রো ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি পাওয়া যাবে। দাম ও ফিচারের নিরিখে Realme ব্র্যান্ডিংয়ের এই নয়া মডেলটির সাথে ইতিমধ্যেই বাজারে বিদ্যমান Redmi Note 11S এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলবে। তাই কোন মডেলটি কেনা অধিক লাভজনক তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। সেই কারণে আমরা এই প্রতিবেদনে লেটেস্ট Realme C53 এবং Redmi Note 11S স্মার্টফোনের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করবো‌।

Realme C53 vs Redmi Note 11S : দাম

ভারতে রিয়েলমি সি৫৩ স্মার্টফোনকে দুটি স্টোরেজ কনফিগারেশনে লঞ্চ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪ জিবি র‌্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ যুক্ত বেস ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ৯,৯৯৯ টাকা। আর উচ্চতর ৬ জিবি র‌্যাম + ৬৪ জিবি স্টোরেজ অপশনের দাম থাকছে ১০,৯৯৯ টাকা। এটি শ্যাম্পেন ব্ল্যাক ও শ্যাম্পেন গোল্ড কালারে এসেছে।

এদেশে রেডমি নোট ১১এস ফোনের দাম শুরু হচ্ছে ১৬,৪৯৯ টাকা থেকে। এই দাম ফোনটির ৬ জিবি র‌্যাম + ৬৪ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের। এছাড়া ৬ জিবি র‌্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ এবং ৮ জিবি র‌্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ অপশনে দাম যথাক্রমে ১৭,৪৯৯ টাকা ও ১৮,৪৯৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এটিকে হরাইজন ব্লু, স্পেস ব্ল্যাক, এবং স্টারবাস্ট হোয়াইট কালার বিকল্পে পাওয়া যাবে।

Realme C53 vs Redmi Note 11S : ডিসপ্লে, সেন্সর

রিয়েলমি সি৫৩ স্মার্টফোনে ৬.৭৪ ইঞ্চির এইচডি প্লাস LPS LCD ওয়াটার-ড্রপ নচ ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, যা ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ১৮০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট এবং ৫৬০ নিট পিক ব্রাইটনেস অফার করে৷ সিকিউরিটি ফিচার হিসাবে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর উপলব্ধ।

ডুয়েল সিমের রেডমি নোট ১১এস ফোনে আছে ৬.৪৩-ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস (১,০৮০x২,৪০০পিক্সেল) AMOLED ডট ডিসপ্লে রয়েছে। এই ডিসপ্লে ৪০৯ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি, ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, সর্বোচ্চ ১৮০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট, ৪,৫০০,০০০:১ কনট্রাস্ট রেশিও, ১,০০০ নিট পিক ব্রাইটনেস, DCI-P3 কালার গ্যামেট, রিডিং মোড ৩.০ এবং সানলাইট ডিসপ্লে ফিচার সাপোর্ট করে। আর নিরাপত্তার জন্য এতে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর অন্তর্ভুক্ত থাকছে।

Realme C53 vs Redmi Note 11S : প্রসেসর, অপারেটিং সিস্টেম, র‍্যাম, স্টোরেজ

পারফরম্যান্সের জন্য রিয়েলমি সি৫৩ স্মার্টফোনে মালি-জি৫৭ জিপিইউ সহ ইউনিসক টি৬১২ অক্টা-কোর চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। এই হ্যান্ডসেট লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই টি সংস্করণে রান করে। স্টোরেজের কথা বললে, এতে ৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ মিলবে। যদিও মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে এর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

অভ্যন্তরীণ স্পেসিফিকেশনের কথা বললে, রেডমি নোট ১১এস স্মার্টফোনে অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৮ প্রসেসর দেওয়া হয়েছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক এমআইইউআই ১৩ কাস্টম স্কিনের সাথে প্রি-লোডেড হয়ে এসেছে। আবার স্টোরেজ হিসাবে ৮ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম এবং সর্বোচ্চ ১২৮ জিবি মেমরি পাওয়া যাবে।

Realme C53 vs Redmi Note 11S : ক্যামেরা সেটআপ

ছবি তোলার জন্য Realme C53 ফোনে ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ বর্তমান। এই ক্যামেরাগুলি হল – ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট লেন্স। এদিকে সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য পাওয়া যাবে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।

ফটো ও ভিডিওগ্রাফির জন্য Redmi Note 11S স্মার্টফোনে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ দেওয়া হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলি হল – ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেথ সেন্সর। আর ডিভাইসের সামনে অর্থাৎ ডিসপ্লের উপরিভাগে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা অবস্থান করছে।

Realme C53 vs Redmi Note 11S : ব্যাটারি, কানেক্টিভিটি বিকল্প

রিয়েলমি সি৫৩ স্মার্টফোনকে ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির শক্তিশালী ব্যাটারি সহ নিয়ে আসা হয়েছে, যা ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। আবার কানেক্টিভিটির জন্য এতে পাওয়া যাবে – ওয়াই-ফাই ৮০২.১১ এ/বি/এন/এসি, ব্লুটুথ ৫.০, জিপিএস, গ্লোনাস, গ্যালিলিও, একটি ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট এবং ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক।

পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য রেডমি নোট ১১এস ৫জি ফোনে ৩৩ ওয়াট প্রো ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থিত ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। আর কানেক্টিভিটি বিকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত থাকছে – ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই ৮০২.১১ এ/বি/এন/এসি, ব্লুটুথ ৫.০, জিপিএস, গ্লোনাস, বিডিএস, গ্যালিলিও, এনএফসি এবং ইউএসবি টাইপ-সি ২.০ পোর্ট।