PhonePe, Google Pay-র ঘুম ওড়াতে আম্বানির নতুন চাল, এবার দোকানে পেমেন্ট করলে ‘হাঁক দেবে’ Jio-ই!

Jio Pay Soundbox: ভারতীয় টেলিকমিউনিকেশন মার্কেটে পা রাখার অল্প সময়ের মধ্যেই পুরোনো থেকে অতি পুরোনো কোম্পানিগুলিকে পেছনে ফেলেছে Reliance Jio। এই টেলিকম অপারেটরের হাত ধরেই…

Jio Pay Soundbox: ভারতীয় টেলিকমিউনিকেশন মার্কেটে পা রাখার অল্প সময়ের মধ্যেই পুরোনো থেকে অতি পুরোনো কোম্পানিগুলিকে পেছনে ফেলেছে Reliance Jio। এই টেলিকম অপারেটরের হাত ধরেই মোবাইল এবং ব্রডব্র্যান্ডের কানেকশনের ক্ষেত্রে একের পর এক পরিবর্তন আসছে। তাছাড়া Jio ইতিমধ্যে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো ডিভাইসও লঞ্চ করেছে। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে, দেশের মানুষের রোজনামচায় আরও বড় জায়গা করে নিতে মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি এবার UPI পেমেন্ট সেক্টরে প্রবেশের পরিকল্পনা করছে। আসলে এই কয়েক বছরে অনলাইন পেমেন্ট যেভাবে নগদ কারবারের বিকল্প তথা জীবনযাত্রার অন্যতম স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনই দোকান-বাজারের সাথে জড়িয়ে গেছে Paytm Soundbox-এর মতো ডিভাইস; এতে করে কেউ দোকানে পেমেন্ট করার সাথে সাথেই তার মালিক ট্রানজাকশন সম্পর্কে ভয়েস আপডেট পেয়ে যান। সেক্ষেত্রে Jio এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করতে চাইছে।

Jio Soundbox: এবার পেমেন্ট সাউন্ডবক্স আনতে চাইছে আম্বানির টেলকো

জিও, তার নেটওয়ার্ক পরিষেবা লঞ্চের সময়ই বেশ কিছু অ্যাপ লঞ্চ করে, যার মধ্যে অন্যতম হল অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ‘Jio Pay’। কিন্তু এই অ্যাপ বাজারে PhonePe, Google Pay বা পেটিএম (Paytm)-এর মতো সাড়া ফেলতে পারেনি। সেক্ষেত্রে এখন কোম্পানি সাউন্ডবক্স সার্ভিস এনে অনলাইন পেমেন্টের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাইছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে নাকি জিও সাউন্ডবক্সের ট্রায়াল শুরু হয়েছে, খুব শীঘ্রই এটি দোকানে দোকানে দেখা যেতে পারে। এমনকি যে সমস্ত দোকানদার এই জিও সাউন্ডবক্স ব্যবহার করবেন, তাদের নাকি জিওর তরফে দারুণ অফারও দেওয়া হবে।

সব মিলিয়ে একথা নিশ্চিত যে, মুকেশ আম্বানি এবার সরাসরি পেটিএমকে টেক্কা দিতে মাঠে নামতে চাইছেন। তাছাড়া জিওর এই নতুন পদক্ষেপের জেরে অন্যান্য সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক উদ্বেগ খানিকটা বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জিও সাউন্ডবক্সের আলোচনা এমন সময়ে শুরু হয়েছে, যখন পেটিএম কোম্পানি তাদের পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (Paytm Payments Bank) নিয়ে আগে থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে।

তবে যাইহোক, বর্তমানে কেবল Jio Soundbox নিয়ে জল্পনা-কল্পনাই চলছে। এই বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে একবার এই ডিভাইসটি চালু হলে সেইসব মানুষেরা উপকৃত হবেন, যারা স্মার্টফোন এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননা।