একেবার নির্ভেজাল ক্রুজার, এই কাস্টম Royal Enfield পাশ দিয়ে গেলেই তাকাবে সবাই
রেট্রো মোটরসাইকেল নির্মাতা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) ছত্রছায়ার সর্বাধিক জনপ্রিয় মডেলটি হল Classic 350। সেই...রেট্রো মোটরসাইকেল নির্মাতা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) ছত্রছায়ার সর্বাধিক জনপ্রিয় মডেলটি হল Classic 350। সেই ২০০৯-এ প্রথমবার বাজারে পা রেখেছিল বাইকটি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ২০২১-এ এর নতুন প্রজন্মের মডেলটি লঞ্চ হয়েছিল। এদিকে কাস্টমাইজেশনের প্রসঙ্গ উঠলে রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকের চাহিদা সর্বাধিক। যার মধ্যে অন্যতম হল Royal Enfield Classic 350। এবারে এই বাইকটিকে মডিফাই করে ক্রুজার মডেলে রূপান্তরিত করা হল।
Royal Enfield Classic 350-এর ক্রুজার রূপ
রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০-কে ক্রুজার গোত্রীয় করে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এইমর কাস্টমস (Eimor Customs)-হাত ধরে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কতটা রদবদলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বাইকটিকে। এতে দেওয়া হয়েছে ১৭ ইঞ্চি হুইল এবং চওড়া টায়ার। আর এতেই ক্রুজারের বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়েছে। এতে উপস্থিত স্টিল স্পোক হুইল। তাই টায়ারটি টিউবলেস নয়।
ক্রুজার Royal Enfield Classic 350-এর কালার
মোটরসাইকেলটিতে নজরকাড়া কালার অপশন দেওয়া হয়েছে। ম্যাট ব্ল্যাকের সাথে হাতে আঁকা গোল্ডেনের স্পর্শ ব্যাপক চমকাচ্ছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কের দু’পাশে রয়েছে প্যাড। যাতে রাইডারের ধরতে সুবিধা হয়। আবার ক্লাসিক ৩৫০-র ফুট পেগেও পরিবর্তন নজরে পড়েছে।
ট্যাঙ্কে গ্রিকের যুদ্ধ এবং সাহসিকতার দেবতার ছবি আঁকা রয়েছে। মোটরসাইকেলের সিটটিও সম্পূর্ণ নতুন। এই প্রসঙ্গে এইমর বলেছে চালক যাতে অধিক আরাম অনুভব করে, তেমনভাবে সিটের ডিজাইন করা হয়েছে। যার পেছনদিকে রয়েছে পিলিয়ন ব্যাকরেস্ট। ফ্রন্টে দেওয়া হয়েছে একটি ৫.৫ ইঞ্চি এলইডি হেডল্যাম্প।
ক্রুজার Royal Enfield Classic 350-এর হার্ডওয়্যার
এইমর কাস্টমস মোটরসাইকেলটির ফ্রন্ট শক অ্যাবসর্বার পাল্টে রয়্যাল এনফিল্ডের একদা বিক্রিত ক্রুজার বাইক Thunderbird-এর ইউনিট দিয়েছে। যাতে আগ্রাসী লুক পেয়েছে বাইকটি। আবার শক অ্যাবসর্বারটি ফর্ক গেইটার দ্বারা আবৃত। এছাড়া এতে উপস্থিত একটি ব্ল্যাক ফিনিশড ক্র্যাশ গার্ড।
তবে বাইকটির ইঞ্জিনে কোন পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। স্টক মডেলের মতোই এটি একটি ৩৪৬ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লং স্ট্রোক ইঞ্জিনে ছুটবে। কালো রঙের মোটরটি থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি নতুন ডিজাইনের এগজস্ট। যার নাম মোটোটর্ক বিট সাইলেন্সার।