Royal Enfield: বোমার মতো তীব্র শব্দে ফেটে আগুন ধরে গেল রয়্যাল এনফিল্ডে, ভিডিয়ো ভাইরাল

ভারতে টু-হুইলারে অগ্নিকাণ্ড যেন পিছু ছাড়ছে না। একের পর এক অঘটনের কথা সামনে আসছে। গত মাসে পরপর চারটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগায় এমনিতেই বিচলিত ক্রেতা…

ভারতে টু-হুইলারে অগ্নিকাণ্ড যেন পিছু ছাড়ছে না। একের পর এক অঘটনের কথা সামনে আসছে। গত মাসে পরপর চারটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগায় এমনিতেই বিচলিত ক্রেতা থেকে নির্মাতা। এবার মানুষের সেই উদ্বেগ দাবানলের আকার ধারণ করল দেশের প্রথম সারির ক্লাসিক বাইক প্রস্তুতকারী রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর মোটরসাইকেলে আগুন লাগার ঘটনায়। একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকের তীব্র বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখা আকাশ সমান উচ্চতায় পৌঁছেছে।

জানা গেছে, এটি অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার ঘটনা। ওই অঞ্চলের একটি মন্দিরের বাইরে বাইকটি দাঁড় করানো ছিল। সূত্রের দাবি, বাইকটির মালিক রবিচন্দ্র কর্নাটকের মাইসোর থেকে ৩৮৭ কিলোমিটার যাত্রা করে গুন্তাকল মন্ডলের নেত্তিকান্তি আঞ্জানেয়া স্বামী মন্দিরে এসেছিলেন। হঠাৎই রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলটির ফুয়েল ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। সেটি Classic 350 মডেলের বাইক ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে সে সময় বেশ কিছু সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আগুনের তীব্রতা বাড়ছে দেখে সকলেই নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। এরপরই তীব্র বিস্ফোরণটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হননি বলেই খবর। এদিকে আগুন লাগার নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে মোটরসাইকেলটি কিনেছিলেন রবিচন্দ্র। যদিও সেটি সেকেন্ড হ্যান্ড ছিল। এই প্রসঙ্গে রয়্যাল এনফিল্ডের তরফে এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

https://twitter.com/AlluHarish17/status/1511014818702004227?t=hbdVfwDI3qTpQc026IeUjA&s=19

প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে এক সপ্তাহে পরপর চারটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ স্কুটারগুলি ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric), ওকিনাওয়া অটোটেক (Okinawa Autotech) এবং পিওর ইভি (Pure EV) – এই তিনটি সংস্থার, যার মধ্যে ওকিনাওয়া-র দুটি ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপাদানের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড। এদিকে পেট্রোল চালিত বাইকের উত্তপ্ত স্থানে তেল লিক করে আগুন লাগার সম্ভাবনাও প্রবল। তবে তদন্তের পরই নির্দিষ্ট কারণটি বলা সম্ভব।