Xiaomi ফোনে আসছে আর্থকোয়েক মনিটরিং ফাংশন, কি সুবিধা হবে জেনে নিন

Xiaomi প্রথম ২০১০ সালে ফোন এবং স্মার্ট টিভির জন্য তার কাস্টম MIUI ROM-এ ভূমিকম্প সতর্কতা (earthquake alert) ফিচার যোগ করেছিল। চেংডু হাই-টেক ডিজাস্টার মিটিগেশন ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এই ফিচারটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। টেক জায়ান্টটি সম্প্রতি জানিয়েছে যে, এটি ২০১৯ সালের নভেম্বরের পর থেকে মোট ১২.৬৪ মিলিয়ন সতর্কীকরণ বার্তা প্রেরণের সাথে সাথে ৪.০ বা তার বেশি মাত্রার প্রায় ৩৫ টি ভূমিকম্পকে সফলভাবে সনাক্ত করেছে।

তবে এখানেই থেমে না থেকে, প্রযুক্তিমূলক কার্যকলাপের অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে Xiaomi খুব সম্ভবত আরও একটি দুর্যোগ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা (disaster early warning system) নিয়ে আসছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সংস্থাটি এমন একটি ফিচারের ওপর কাজ করছে যা তার মোবাইল ফোনগুলিকে ভূমিকম্পের সতর্কতামূলক তথ্য (earthquake warning information) রিসিভ করার পাশাপাশি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণও (মনিটর) করতে সক্ষম করবে। এই ফিচারটিকে সংস্থাটির স্মার্টফোনগুলির কয়েকটি সেন্সরের সাথে একীভূত করা হবে যা রিয়েল-টাইমে পৃথিবীর ভূকম্পীয় ক্রিয়াকলাপগুলি পর্যবেক্ষণ করবে।

ফলে এই প্রযুক্তি কেবল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণের (earthquake monitoring) ব্যয় সাশ্রয় করবে না, বরং পর্যবেক্ষণের সংখ্যাও অনেক বাড়িয়ে তুলবে। আবার জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ (national earthquake monitoring) এবং প্রারম্ভিক সতর্কতা নেটওয়ার্ককে আরও পরিপূর্ণ করে তুলবে। সময়ের সাথে সাথে নতুন ফিচারটি সমস্ত Xiaomi ফোনে লঞ্চ হবে। তবে আপাতত এটি MIUI 12.5‌ বিটা ভার্সন দ্বারা চালিত MI ফোনগুলিতে পরীক্ষাধীন।

চীনা টেক জায়ান্টটি আরও জানিয়েছে যে, যখন মোবাইল ফোনের সেন্সর কম্পন সনাক্ত করবে, তখন এটি এজ কম্পিউটিং (edge computing)-এর মাধ্যমে ভূমিকম্পের তথ্য কি না তা বিচার করবে। যদি সত্যিই তা হয়, তবে এটি প্রাথমিক সতর্কতা কেন্দ্রে তথ্য পাঠাবে, এবং কেন্দ্র একাধিক মোবাইল ফোন এবং আর্থকোয়েক ডেটা AI থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে গণনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে যে সত্যিই ভূমিকম্প হয়েছে কি না। যদি দেখা যায় যে ভূমিকম্প হয়েছে, তাহলে ভূমিকম্পের মাত্রা, কেন্দ্রস্থলের অবস্থান এবং সময় দ্রুত গণনা করা হবে, এবং তারপরে আশেপাশের এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য সতর্কীকরণ বার্তা জারি করা হবে।

এই প্রযুক্তি মানুষের জন্য প্রভূত কল্যাণকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। যখন প্রতিটি Xiaomi মোবাইল ফোন ভূমিকম্পের মনিটরে (Earthquake Monitor) পরিণত হবে, তখন জনগণকে আরও সহজে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভবপর হবে। এই ফিচারটি কোনোভাবেই অংশগ্রহণকারীদের গোপনীয়তা বিপন্ন করবে না। কারণ সংস্থাটি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পুরো প্রক্রিয়ায়, এটি বেনামে সমস্ত ব্যবহারকারীর ডেটা হ্যান্ডেল করতে “ডিফারেনশিয়াল প্রাইভেসি” ব্যবহার করবে এবং এইভাবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিশ্চিত করবে। তবে এই ফিচারটি চীনের বাইরে বিক্রি হওয়া Xiaomi স্মার্টফোনগুলিতে লঞ্চ হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন