Xiaomi, Oppo দের টেক্কা দিতে ওয়াটারপ্রুফিংকে হাতিয়ার করছে Samsung, Galaxy A33 দিয়ে খেলা শুরু?

অসাবধানতায় হাত ফস্কে মোবাইল ফোন সটান জলে গিয়ে পড়া কিংবা বৃষ্টির জল ফোনের ভিতরে ঢুকে যাওয়া, মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জল নিয়ে মনে ভয় কাজ করলেও, ফোনে যদি ওয়াটারপ্রুফ হয়, তাহলে আর চিন্তা থাকে না।

বর্তমানে বাজারে মূলত দামি ফোনে ওয়াটারপ্রুফিং বা জলরোধী ক্ষমতা থাকে। কম দামি ফোনে এই ফিচার খুব কম দেখা যায়। তবে The Elec-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওপ্পো (Oppo) এবং শাওমি (Xiaomi)-এর মতো চাইনিজ প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে টক্কর দিতে ওয়াটারপ্রুফিং ফিচারকে হাতিয়ার করতে চলেছে স্যামসাং (Samsung)। ২০২২ থেকে সংস্থার কম মূল্যের ফোন থেকে শুরু করে মিড-রেঞ্জ ডিভাইসেও জল থেকে সুরক্ষা মিলবে।

স্যামসাং কিছু না বললেও, ফোন ওয়াটারপ্রুফ করার সিদ্ধান্তের পিছনে থাকতে পারে একটাই কারণ। আর সেটি হল লো থেকে মিড রেঞ্জের স্মার্টফোনগুলির প্রতি গ্রাহকদের নজর টানা। সেই সুযোগে চাইনিজ প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে কিছুটি এগিয়ে থাকতে পারবে দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে স্যামসাংয়ের Galaxy S21 সিরিজ-সহ হাই-এন্ড মডেলের কিছু ফোনে ওয়াটারপ্রুফ ফিচার বর্তমান। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সংস্থার নতুন উদ্যোগ আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে লঞ্চ হতে চলা Samsung Galaxy A33 মডেলে প্রথম দেখা যাবে। যদিও এটা বলা সম্ভব হচ্ছে না, সংস্থার প্রিমিয়াম ফোনের মতো IP68 রেটিংয়ের সঙ্গে এটি আসবে কিনা।

অন্য দিকে, স্যামসাং উৎপাদন খরচ কমাতে নতুন পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে। স্মার্টফোনের পিছনে যে কভার থাকে তা তৈরির পদ্ধতি আরও সরল করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। স্যামসাংয়ের ফোনে ইঞ্জেকশন ও কোটিংয়ের সংখ্যা দুই থেকে কমিয়ে একে করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এখানে ইঞ্জেকশনের অর্থ প্লাস্টিক মোল্ডিং এবং কোটিং মানে একটি জিনিসের উপর স্প্রে পেইন্টের সাহায্যে রঙের আস্তরণ দেওয়া। একজন বিশেষজ্ঞের কথায়, “ইঞ্জেকশন ও কোটিংয়ের সংখ্যা হ্রাস করার ফলে উৎপাদন খরচ বা প্রোডাকশন কস্টও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে।”