Share Market: শেয়ার বাজারে ধস, গত ৭ মাসে সর্বনিম্ন সেনসেক্স, লগ্নিকারীরা হারালেন ৮ লক্ষ কোটি টাকা

গত ৭ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধসের সম্মুখীন হল শেয়ার বাজার। আজ সেনসেক্স ১১০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়ে ৫৮,৫৫০ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে (বাজার বন্ধের সময়ের হিসেব অনুযায়ী)। অন্যদিকে NSE (National stock exchange)-র সূচক, নিফটিও (Nifty) ২ শতাংশ নীচে নেমে গিয়ে ১৭,৪৪৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে।এরপরে লগ্নিকারীদের ৮ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্বল আন্তর্জাতিক ভাবাবেগ ও রিলায়েন্সের মতো নামী শিল্পসংস্থার শেয়ারে বড়সড় পতনই সম্ভবত শেয়ার বাজারের এই ধসের জন্য দায়ী। এছাড়া, ইউরোপ ও সংলগ্ন অঞ্চলে করোনা অতিমারির পুনরায় প্রাদুর্ভাবও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিএসই সেনসেক্সের ৩০ টি স্টকের মধ্যে বাজাজ ফিনান্স এর স্টকটি প্রায় ৫.৭৩% নীচে নেমে গিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি রিলায়েন্স এবং সৌদি আরবের আরামকোর (Aramco) মধ্যে একটি চুক্তির সম্ভাবনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারই মধ্যে RIL- এর শেয়ারও ৪.৫ % নীচে নেমে গিয়ে লগ্নিকারীদের ঘুম উড়িয়েছে।

শেয়ারবাজারের বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারে আসন্ন সংশোধনের ঝুঁকি ও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কার কারণেই এদিন শেয়ার বাজারে সূচকের এই পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। মতিলাল ওসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এর রিসার্চ বিভাগের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ খেমকা (Siddhartha Khemka) জানান, অধিক বাজারমূল্য ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অস্থিরতার কারণে শেয়ারবাজারের এই দশা আপাতত বজায় থাকবে। মুদ্রাস্ফীতি জনিত উদ্বেগের খবর শিরোনামে আসছে এবং ফেড (FED) ও টেপারিং (Tapering) প্রোগ্রাম খুব শীঘ্রই শুরু করতে চলেছে। বিনিয়োগকারীরাও ইউরোপের কোভিড পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সুতরাং, পরিস্থিতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত শেয়ার বাজারে আপাতত চাপ বজায় থাকবে ও স্টক সম্পর্কিত কার্যকলাপও চলতে থাকবে।

তিনি আরও যোগ করেন, এই সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু অঞ্চলের বৃহত্তর অর্থনীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হলে, সম্ভবত তা থেকে কিছুটা দিশা খুঁজে পেতে পারে শেয়ার বাজার।