পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, গাড়ি নির্মাতাদের আপত্তি সত্বেও নয়া নীতি জারির বার্তা

নির্মাতাদের আপত্তি সত্বেও আট পর্যন্ত আসন রয়েছে এমন গাড়িতে ছ’টি এয়ারব্যাগ রাখা বাধ্যতামূলক করার পথে যে হাঁটবে কেন্দ্র, তা ফের একবার স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)‌। ‌গতকাল তিনি একটি সম্মেলনে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ফের ওই বিষয়ের উপর আলোকপাত করলেন।

‘ইন্টেল ইন্ডিয়া-র সেফটি পাওনিয়ার্স কনফারেন্স ২০২২’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে গডকড়ী বলেন, প্রতি বছর ভারতে পাঁচ লাখ সড়ক দুর্ঘটনায় দেড় লাখ মানুষ মারা যান। সে কারণে মোটরগাড়িতে এয়ারব্যাগের সংখ্যা নূন্যতম ছ’টি আবশ্যিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে চাই। পথ দুর্ঘটনায় শরীর রক্ষায় এয়ারব্যাগ অত্যন্ত কার্যকরী।”

প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ১৯৮৯ সালের মোটর ভেহিকল আইনে সংশোধন করে খসড়া নীতি প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা হয় ২০২২-এর ১ অক্টোবরের পরে নির্মিত M1 ক্যাটাগরির গাড়ির মধ্যে অন্তত ছয়টি এয়ারব্যাগ রাখতে হবে‌। তবে বেশি এয়ারব্যাগ দেওয়ার ফলে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে বিক্রি যে ধাক্কা খেতে পারে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের মধ্যে অন্যতম দেশের বৃহত্তম যাত্রী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)।

এ দিকে, গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতেও নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক মাপকাঠি অনুযায়ী এ দেশে চালু হতে চলেছে ভারত এনক্যাপ (Bharat NCAP)। দেশে নির্মিত বা আমদানি করে বিক্রিত গাড়ি তা কতটা অভিঘাত সহ্য করতে সক্ষম তার পরীক্ষা গ্লোবাল এনক্যাপ-এর মানদণ্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করবে ভারত এনক্যাপ। এই পরীক্ষা প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, শিশু যাত্রী এবং সেফটি অ্যাসিস্ট টেকনোলজি – এই তিন বিভাগে বিভক্ত থাকবে। প্রতিটি বিভাগে এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত আলাদা স্টার রেটিং দেওয়া হবে