প্রোমোশন করা প্রোডাক্ট ফ্রি-তে পাবেন না সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা, ১লা জুলাই থেকে লাগু নতুন নিয়ম

যত সময় গড়াচ্ছে, যুগের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের নিয়মকানুনেও ঘটছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে নতুন কোনো প্রোডাক্ট বাজারে আসার আগেই অনলাইনে তার প্রচার শুরু হয়ে যায়। আর এই ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাহাত্ম্য সম্পর্কে তো আর নতুন করে কিছু বলার নেই, তাই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা Facebook (ফেসবুক) বা Instagram (ইনস্টাগ্রাম)-এর মত প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমেই বেশিরভাগ পণ্যের প্রচার চালিয়ে থাকেন; এর বদলে তারা বিনামূল্যে হাতে পেয়ে যান সেই প্রোডাক্ট। এক্ষেত্রে এই ফ্রি গিফট পাওয়ার লোভে অনেকেই এখন পেশাগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার কথা ভেবে থাকেন। তবে মাথাতেও যদি এরকম কোনো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তাহলে বলব দাঁড়ান! কারণ, খুব শীঘ্রই কিন্তু এই সুদিন শেষ হতে চলেছে। এবার থেকে আর কোনো প্রোডাক্টের প্রোমোশন করলে সেটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে না। এতদিন ধরে এই সমস্ত পণ্য বা পরিষেবার ওপর ট্যাক্স ধার্য করা না হলেও আগামী মাস থেকে এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

ফ্রি-তে মিলবে না প্রোমোশন করা প্রোডাক্ট

সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, আগামী জুলাই মাস থেকে বিনামূল্যে পাওয়া প্রোডাক্টের উপরে ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স বা টিডিএস (TDS) বসানো হচ্ছে। যে সমস্ত ব্যবসার সেলস প্রোমোশনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা ফ্রি গিফট পেয়ে থাকেন, সেই সমস্ত প্রোডাক্টের উপর ১০% টিডিএস ধার্য করছে সরকার। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বা অন্য কোনো সংস্থার তরফ থেকে পাওয়া ফ্রি স্যাম্পেলের জন্য ডাক্তারদেরও এই কর দিতে হবে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সের (CBDT) তরফে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, যদি কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার কোনো সংস্থার কাছ থেকে মার্কেটিং প্রোমোশনের জন্য বিনামূল্যে কোনো ডিভাইস কিংবা প্রোডাক্ট (গাড়ি, মোবাইল, জামাকাপড়, প্রসাধনী সামগ্রী, ইত্যাদি) গ্রহণ করেন, তবে তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১০ শতাংশ টিডিএস দিতে হবে। আয়কর আইনের ১৯৪আর ধারায় এই কর লাগু করা হবে। তবে প্রমোশনের পর তারা যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থাটিকে ওই পণ্যটি ফেরত দিয়ে দেন, তবে সেক্ষেত্রে আর তাদেরকে টিডিএস দিতে হবে না।

একইভাবে, হাসপাতালে নিযুক্ত থাকা কোনো চিকিৎসক যদি কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তরফ থেকে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট বা ওষুধ পেয়ে থাকেন, তাহলে তার জন্য তাকে নির্ধারিত পরিমাণ কর দিতে হবে। এই করের জন্য প্রদেয় টাকাটি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বেতন থেকে কাটা যাবে। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে, ফ্রি স্যাম্পেলের জন্য অতিরিক্ত টাকা হাসপাতালকে নয় চিকিৎসককেই দিতে হবে।