এবার মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পথে হাঁটতে চলেছে কোরিয়ার সরকার। দেশটি আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই, ৩০০ সেকেন্ড সময়ের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি তাপমাত্রা বজায় রাখতে সক্ষম এমন বৈশিষ্ট্যের কোরিয়ার সর্বপ্রথম কৃত্রিম সূর্য, ‘KSTAR’-(The Korea Superconducting Tokamak Advanced Research) এর নির্মাণের উদ্দেশ্যে এক অভিনব প্রযুক্তি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে উল্লেখ্য, পারমাণবিক ফিউশন প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণের জন্য ৩০০ সেকেন্ড হল সর্বনিম্ন সময়সীমা।
গত ৩০ শে ডিসেম্বর, দেশের বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় যে কোরিয়া ইনস্টিটিউট অফ ফিউশন এনার্জি ইনস্টিটিউটে ১৬ তম জাতীয় ফিউশন কমিটির আয়োজন করা হয়েছে এবং সেখানেই ‘পরমাণু ফিউশন শক্তি বিকাশের চতুর্থ মৌলিক পরিকল্পনা (২০২২-২০২৬)’ টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে প্রতি ৫ বছর অন্তরই পরমাণু ফিউশন শক্তি উন্নয়ন নীতির লক্ষ্য ও নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্থাটি, KSTAR- পরীক্ষার ক্ষেত্রে অপারেটিং প্রযুক্তির ক্রমশ উন্নতি ঘটাতে থাকবে, যার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রির অতি-উচ্চ তাপমাত্রায় প্লাজমা অপারেশন বজায় রাখার মতো দুর্দান্ত ফলাফল মিলতে শুরু করেছে (২০২১ সালের ক্ষেত্রে ৩০ সেকেন্ডের জন্য)। শুধু তাই নয়, এটি ২০২৬ সালের মধ্যেই এই তাপমাত্রা ৩০০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখতেও সক্ষম হবে।
জানিয়ে রাখি, নিউক্লিয়ার ফিউশনই হল মূল নীতি যার ওপর ভিত্তি করে কৃত্রিম সূর্য, আলো এবং তাপ উৎপন্ন করে। আর, সাম্প্রতিক কালে কোরিয়ান সরকার KSTAR-এর সাথে পৃথিবীতে কৃত্রিমভাবে এই পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়ে বিদ্যুতের মতো শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের তরফে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে প্রথমবার ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল KSTAR। কিন্তু সেই প্লাজমা অপারেশন স্থায়ী ছিল মাত্র ১.৫ সেকেন্ডের জন্য। তবে, এটি ২০২০ সালে ২০ সেকেন্ড এবং ২০২১ এ ৩০ সেকেন্ডের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি তাপমাত্রা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। সুতরাং, ২০২১ সালে বিশ্বের দীর্ঘতম রেকর্ড গড়ে তুলেছে কোরিয়া।
সরকার সম্ভবত ভবিষ্যতে পারমাণবিক ফিউশন দ্বারা শক্তি উৎপাদন সংক্রান্ত প্রদর্শনের মৌলিক ধারণাগুলিও নির্ধারণ করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই এসেনসিয়াল নেটওয়ার্ক সহ ‘দীর্ঘমেয়াদী R&D রোডম্যাপ’ স্থাপনের পরিকল্পনাটিও তুলে ধরেছে।
এছাড়াও, ভবিষ্যতের পারমাণবিক ফিউশন শক্তি উৎপাদন প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় ‘আটটি মূল প্রযুক্তি’ নির্বাচন করা হয়েছে যেগুলির মধ্যে উচ্চ-তাপমাত্রা, দীর্ঘ-সময়, উচ্চ-ঘনত্বের কোর প্লাজমা প্রযুক্তি, ট্রিটিয়াম বৃদ্ধি এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্ল্যাঙ্কেট প্রযুক্তি ইত্যাদি সামিল রয়েছে। সরকারীভাবে R&D প্রকল্প এবং অন্যান্য পদ্ধতিগত সহযোগিতার মাধ্যমে আটটি মূল প্রযুক্তিকে সুরক্ষিত করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে এবং এর পাশাপাশিই, ২০২৩ সালে প্রদর্শনের প্রাথমিক ধারণাটির নকশা পরিচালনা করা হবে বলেও সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে।
কম দামে ভালো ক্যামেরার স্মার্টফোন খোঁজ করলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। আসলে অ্যামাজনে চলছে itel…
ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়ে ধরে যেতে পারে আগুন, এমনই আশঙ্কায় 85,000 গাড়ি ফেরত নেওয়ার ঘোষণা…
ডিয়ার লটারি রেজাল্ট খোঁজ করলে সুখবর। এই প্রতিবেদনে আজ অর্থাৎ 24 আগস্ট তারিখের ডিয়ার লটারি…
Apple iPhone 16 সিরিজটি আগামী মাসেই বাজারে পা রাখতে চলেছে। তবে গত কয়েক মাস ধরেই…
হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো মেসেজ আসা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ভুয়ো মেসেজে WhatsApp ব্যবহারকারীদের…
ভারতীয় সাদা বলের ক্রিকেটে শিখর ধাওয়ান দীর্ঘদিন ধারবাহিকতা বজায় রেখে জাতীয় দলকে সমৃদ্ধ করেছেন।আজ তিনি…