SBI: এটিএম কার্ড ব্লক সহ ব্যাঙ্কের যাবতীয় কাজ হবে একটি কলেই, টোল-ফ্রি নম্বর চালু করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া

আজকাল মানুষ ব্যাঙ্ক বা এটিএম-এর মতো জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের হাত ধরেছেন। বাড়িতে বসেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে এখন নিমেষেই সমস্ত কাজ করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে, যার ফলে আর মানুষকে অযথা ব্যাঙ্কে দৌড়োতে হচ্ছে না। ইন্টারনেট জগতের এই চূড়ান্ত বিপ্লব যে শুধু সাধারণ মানুষেরই সুবিধা করেছে তা নয়, পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলির কাজের চাপও অনেকটা হ্রাস করেছে। আর গ্রাহকদের উত্তম পরিষেবা দিতে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)-এর জুড়ি মেলা ভার। তারা সম্প্রতি ইউজারদের জন্য মোবাইলে বেশ কয়েকটি পরিষেবা চালু করেছে। এখন SBI-এর গ্রাহকরা টোল-ফ্রি নম্বর ১৮০০-১২৩৪-এ কল করে ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত প্রচুর সার্ভিস পেতে পারেন।

এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন আসছে যে, এই টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করলে আপনি ঠিক কী কী পরিষেবা পেতে পারেন? হ্যাঁ, এবার আমরা আপনাদেরকে সেই কথাই জানাতে চলেছি। এই টোল-ফ্রি নম্বরে (১৮০০-১২৩৪) কল করে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন। এছাড়া আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলসের পাশাপাশি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে করা শেষ পাঁচটি ট্রানজ্যাকশন সম্পর্কেও আপনি বিশদে জানতে সক্ষম হবেন।

এসবের পাশাপাশি আপনি এই নম্বরে কল করে আপনার ATM কার্ডটি পুনরায় ইস্যু করতে পারেন। অথবা আপনি যদি কখনও কার্ডটি ব্লক করতে চান, তবে আপনি অবিলম্বে এই নম্বরে কল করলেই আপনার ATM ব্লক হয়ে যাবে। আবার, এই নম্বরটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ATM-এর পিন নম্বরও তৈরি করতে পারেন। এসবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, এই টোল-ফ্রি কলিং পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। বিশেষত সাম্প্রতিককালে করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসেই ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত একাধিক কাজ সারতে এই পরিষেবা গ্রাহকদের বিশেষভাবে কাজে লাগবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিককালে দুর্বার গতিতে বেড়ে চলা সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কেও ইউজারদের সতর্ক করেছে SBI। গ্রাহকরা যাতে সাইবার হামলার শিকার না হন, তার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইউজাররা যেন তাদের ব্যাঙ্কিং ডিটেলস, ATM বা UPI পিন কারোর সাথে শেয়ার না করেন। সেইসাথে SBI আরও বলেছে যে, ব্যাঙ্ক বা তার কর্মীরা কখনোই ইউজারদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট কার্ডের ডিটেলস বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে চায় না। এমনকি ব্যাঙ্ক তার ব্যবহারকারীদের OTP শেয়ার অথবা ফোন, এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে অন্য কোনো লিঙ্কে ক্লিক করতেও বলে না। তাই এই ধরনের কাজ যদি কেউ ইউজারদের করতে বলে, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাদের বুঝে নেওয়া উচিত যে তারা সাইবার জালিয়াতির কবলে পড়তে চলেছেন। যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করাই হল বর্তমান ডিজিটাল যুগে সাইবার হানার হাত থেকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকার এক এবং একমাত্র উপায়।