Vivo-র সাথে পার্টনারশিপে গড়িমসি, Apple-কে সুবিধা দিতেই মুখ ফেরাচ্ছে টাটা গ্রুপ?

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকের সাথে পার্টনারশিপ রয়েছে বলেই, ভিভোকে তার ভারতের ব্যবসায় সাহায্য করতে গিয়ে দোলাচলে টাটা গ্রুপ: নতুন রিপোর্ট।

Tata Holds Investment And Partnership Plans With Vivo For Apple New Report

ভারতের শিল্প-প্রযুক্তিমহলের চলতি হাওয়ার সাথে তাল মেলাতে টাটা গ্রুপ এখন জোরকদমে কাজ করছে। এই সংস্থার সাহায্য নিয়েই বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে তাদের নানাবিধ কাজ সারছে বলে আকছার শোনা যাচ্ছে। তবে জনপ্রিয় চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভিভোর ভারতে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে টাটার ভূমিকা কী হবে, এবার সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, ভারতের এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটি সাম্প্রতিক সময়ে ভিভো ইন্ডিয়ার অর্থাৎ ভিভোর ভারতীয় সহায়ক সংস্থার ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সুপ্রসিদ্ধ অ্যাপল কোম্পানির আপত্তির কারণে, তারা মানে টাটারা এখন বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি শুরু করেছে।

টাটা-ভিভোর জোটে অ্যাপলের গররাজির কারণ কী?

রিপোর্ট অনুযায়ী, টাটা এবং ভিভোর পার্টনারশিপ নিয়ে অ্যাপলের বড় রকমের অস্বস্তি রয়েছে। কারণ, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই স্মার্টফোন কোম্পানি বর্তমানে ভারতের বেঙ্গালুরুতে তার ডিভাইসগুলি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই টাটার সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে যে, ভিভো, ২০২৩ অর্থবর্ষের ৩০,০০০ কোটি টাকা রেভেনিউসহ স্থানীয় ব্যবসার মালিকানা অন্য কারো হাতে তুলে দিতে চাইছিল। আসলে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ভারত সরকারের চাপ এড়িয়ে চীনা মালিকানা হ্রাস করা।

স্বাভাবিকভাবেই, টাটার সাথে অংশীদারিত্বটি ভিভোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক হতে পারতো। কেননা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের কঠোর নিয়মের কারণে কোম্পানিটি প্রচুর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, সেক্ষেত্রে বিশ্বস্ত হাতে শেয়ার তুলে দিলে ভিভোর ব্যবসা সুরক্ষিত হতো এবং তারা ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের সুবিধা তথা টাটার বিনিয়োগ লাভ করতো। তাছাড়া লোকাল পার্টনারের কারণে সংস্থাটির জন্য ভারতীয় ভিসা সহজলভ্যও হয়ে যেতো।

তবে সম্ভাবনা যাই থাক, অ্যাপলের উদ্বেগ এখন এই প্রস্তাবিত চুক্তিটিকে বড় সমস্যার বা বলা ভালো চ্যালেঞ্জের মুখে এনে ফেলেছে। টাটার সহযোগী সংস্থাগুলি এরই মধ্যে অ্যাপলকে উন্নতির রাস্তা দেখিয়েছে, তাই পার্টনার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার সাথে কাজ করলে তাদের আপত্তি-সংশয় হওয়াটাই স্বাভাবিক, আর তারা সেটা করছেও। সব মিলিয়ে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগেই টাটা-ভিভোর মধ্যেকার বোঝাপড়া ঘুচে যাবে এবং যাবতীয় প্ল্যান ভেঙ্গে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। এদিকে, টাটা গ্রুপ এইসব উন্নয়নের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।