নতুন বছরে গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? সবার প্রথমে এই 4 ফিচার চেক না করলে বিপদ

স্বাচ্ছন্দের সাথে প্রতিদিনের যাতায়াত হোক কিংবা দূরে ভ্রমণ সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা আজ একটি সুরক্ষিত ফোর-হুইলার। কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে আবারও স্বমহিমায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এদেশের গাড়ির বাজার। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে এদিকে উঠেপড়ে লেগেছে দেশ-বিদেশের নামিদামি গাড়ি নির্মাতারা। বিভিন্ন সেগমেন্টের নানা রকম দামের নানা রকম ফিচার যুক্ত যাত্রী গাড়ি উপলব্ধ রয়েছে ভারতের বাজারে। তবে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মাথায় রাখা উচিত মূল কয়েকটি বিষয়। সেগুলোই তুলে ধরা হলো আমাদের আজকের প্রতিবেদনে।

হেড লাইট

রাতের হাইওয়েতে পর্যাপ্ত আলোর অভাব অনুভব করা প্রবলভাবে। এমনিতেই আমাদের দেশের বেশিরভাগ জাতীয় সড়ক খানাখন্দ ও গর্তে ভরা, যা দিনের বেলায় পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা গেলেও রাতের অন্ধকারে তা ঠাওয় দুষ্কর। তাই এই সমস্ত সমস্যার সুরাহা করতে পারে একজোড়া শক্তিশালী হেডলাইট। যেহেতু গ্রাহকরা গাড়ির টেস্ট রাইড দিনের আলোতে করেন, তাই এই বিষয়টি অনেক অনেক ক্ষেত্রেই নজরের বাইরে চলে যায়। তাই এটি মাথায় রাখা উচিত। এছাড়াও বর্তমান দিনে বেশিরভাগ গাড়িতেই হেডলাইটের পাশাপাশি কোম্পানি দ্বারা ইন্সটল করা ফগ লাইটের দেখা মেলে। কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় এটি অতি কার্যকরী।

এয়ার কন্ডিশনার

ভারতবর্ষের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গাড়ির মধ্যে এয়ারকন্ডিশনার থাকাটা বাধ্যতামূলক। তবে বিভিন্ন গাড়িতে থাকা এই বাতানুকূল যন্ত্রের ঠান্ডা করার ক্ষমতা ভিন্ন। বৈশাখ-জৈষ্ঠের প্রখর রৌদ্রাচ্ছন্ন দিনে ভ্রমণের জন্য গাড়ির কেবিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঠান্ডা রাখা প্রয়োজন। অনেক সময়ই নামকরা ব্র্যান্ডের গাড়িতে থাকা এসির সক্ষমতা পর্যাপ্ত বলে অনুভূত হয় না। তাই এই বিষয়টি ভালোমতো দেখে নেওয়া উচিত।

আরামদায়ক সিট

নিজের শখের গাড়িটি নিয়ে দূর দূরান্তে পাড়ি দেওয়ার লোকের অভাব হয় না। অনেকেই ভাবেন ট্রেন-বাসের ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে নিজের চার চাকায় সওয়ার হয়ে নিশ্চিন্তে ছুটবেন পাহাড় কিংবা সমুদ্রে। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখা উচিত দীর্ঘ রাস্তা একটানা চলতে গেলে প্রয়োজন আরামদায়ক সিটের। বেশিরভাগ পকেট সাশ্রয়ী গাড়ির সিটের কুশন ততটা ভালো হয় না। তাই টেস্ট রাইড নেওয়ার সময় এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখুন। এমনকি ড্রাইভারের সিট যদি এয়ার ভেন্টিলেটেড হয় সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা মিলে।

সুরক্ষা ব্যবস্থা

মনে রাখবেন আপনার এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষার সাথে কোনো রকম আপস করা নির্বুদ্ধিতার কাজ। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্ণয়ক বিভিন্ন সেফটি রেটিং এজেন্সি ভারতবর্ষ সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী নম্বর দিয়ে থাকে। যত বেশি সুরক্ষিত চ্যাসিস হবে সেই গাড়ির নম্বর হবে তত বেশি। নূন্যতম তিন স্টার যুক্ত সেফটি রেটিং যুক্ত গাড়ি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ। এর পাশাপাশি আজকালকার দিনে অনেক গাড়িতেই ন্যূনতম চারটি এয়ার ব্যাগ কিংবা ছয়টি এয়ার ব্যাগ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিটি সিটের সঙ্গে থাকে আলাদা সিটবেল্ট। এই বিষয়গুলি খুঁটিয়ে দেখে তবেই গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন।