বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য করে ছাড়, সাবসিডি, নানা সুযোগ-সুবিধা চালু করার পথে এই দেশ

জ্বালানি তেল চালিত যানবাহন থেকে নির্গত দূষণের পরিমাণ কমাতে তৎপর বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ। তরতাজা ও সজীব আবহাওয়ার দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের দৌড়ে শামিল সকলেই। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দেশবাসীর মধ্যে এই সচেতনতা গড়ে তুলতে চাইছে নানা দেশের প্রশাসন। যার বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি। আর সেই কারণে বিভিন্ন দেশের সরকার এই জাতীয় গাড়ির উপর ভর্তুকি ও ছাড়ের কথা ঘোষণা করে চলেছে। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড এই ছাড়ের ঘোষণায় শামিল হতে চলেছে। এই ছাড়ের মধ্যে থাকবে বৈদ্যুতিক গাড়িতে কর হ্রাসএবং ভর্তুকির সুবিধা।

থাইল্যান্ডের মানুষ যাতে আরও বেশি পরিমাণে বৈদ্যুতিক যানবাহন কিনতে উৎসাহী হন, সে কারণেই আকর্ষণীয় আর্থিক ছাড়ের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সে দেশের সরকার। একই সাথে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও যাতে আরো বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করে, তার জেরেও এই সিদ্ধান্ত। খুব শীঘ্রই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা (Prayuth Chan-Ocha) গাড়ির মডেল এবং ধরণ অনুযায়ী ৭০ হাজার থেকে ১.৫ লক্ষ থাই বাত (প্রায় ৩.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত) ভর্তুকির সুবিধা চালু করতে চলেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর।

এমনকি থাইল্যান্ডের মাটিতে সম্পূর্ণ এবং আংশিক ভাবে প্রস্তুত বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর করের পরিমাণ হ্রাস এবং আমদানি শুল্ক কমানো হতে পারে বলে ন্যাশনাল ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি কমিটির তরফে একটি খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাণের গতি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি, ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমদানিতেও ভর্তুকি দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে উক্ত খসড়াতে।

এছাড়া বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাতা সংস্থাগুলিকে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে যাতে, ২০২৫-এর মধ্যে সংস্থাগুলি পূর্বের বছরগুলির তুলনায় সমসংখ্যক অথবা অধিক পরিমাণে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুত করতে পারে। আমদানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়ার কারণ যাতে, গ্রাহকদের কাছে এই জাতীয় গাড়ির দাম কম পড়ে। পরবর্তীতে কোনো সংস্থাকে যদি রাষ্ট্রের এই নিয়ম অমান্য করতে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সেই সংস্থাটিকে কর ছাড়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে উল্লেখ রয়েছে খসড়ায়।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বৈদ্যুতিক গাড়ির শিল্পতালুক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইছে। এই ক্ষেত্রটিতে আসন্ন বছরগুলিতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি থাই বাত বিনিয়োগ করা হবে বলে অনুমান করছে থাইল্যান্ড সরকার। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই যে সংস্থাগুলি সে দেশে কারখানা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে Toyota, Foxconn Technology, Great Wall Motor ও PTT Pcl।