TikTok এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে পাকিস্তান সরকার

অবশেষে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম TikTok এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের নানা দেশে চীনা সংস্থা ByteDance নির্মিত এই ভিডিও…

অবশেষে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম TikTok এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের নানা দেশে চীনা সংস্থা ByteDance নির্মিত এই ভিডিও মেকিং অ্যাপটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানেও বহুল ব্যবহৃত এই অ্যাপটি সেখানকার শালীনতার সীমাকে লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ। ঠিক এই কারণেই পাকিস্তান সরকারীভাবে অ্যাপটির ব্যাবহার এবং প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে তারা।

গত একবছরের সময়পর্বে পাকিস্তানে সর্বাধিক ডাউনলোডে হওয়া অ্যাপগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে TikTok। দেশটির প্রায় ২০ মিলিয়নেরও বেশী মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ইদানীং অ্যাপটির মাধ্যমে বহু অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ছে, এই অভিযোগে পাকিস্তানের সরকারী কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তারপরেই তারা অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে – আইনী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ করা হয় টিকটকের অশ্লীলতা এবং ব্যাভিচারপূর্ণ কনটেন্টের প্রসার!

তবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রক তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। মন্ত্রকের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টিকটক কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আলোচনাতেই বেরিয়ে এসেছে সমস্যার সমাধানসূত্র। তার বক্তব্য, টিকটকের পক্ষ থেকে উপযুক্ত আশ্বাস পেয়েই তারা পুনরায় অ্যাপটির ব্যবহারে অনুমতি প্রদান করছেন। ভবিষ্যতে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট প্রচারের ব্যাপারে টিকটক আরো অনেক বেশীমাত্রায় সচেতন হবে বলেই তাদের বিশ্বাস। নইলে অ্যাপটির ওপরে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে – এমন পরিণতির কথা জানাতেও তিনি ভোলেননি।

TikTok কর্তৃপক্ষের দাবী তারা কোন দেশের সামাজিক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে চান না। তবু যাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ কনটেন্টগুলি ছড়িয়ে পড়েছে ভবিষ্যতে সেগুলিকে সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও তারা আশাবাদী। তাছাড়া ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে সেগুলিকে তারা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। সকল টিকটক ব্যাবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।

উল্লেখ্য,গত জুন মাসে ভারতেও এই অ্যাপ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভারত এবং চীনের পারস্পারিক সম্পর্কের অবনতি এই ঘটনায় অনেকখানি ইন্ধন জুগিয়েছে। তাছাড়া টিকটকের মতো একাধিক চীনা অ্যাপ নেটিজেনদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলি গোপনে চীনকে সরবরাহ করছে – এমন সাংঘাতিক অভিযোগের কথাও বারবার উঠে এসেছে।