Tork Kratos: অপেক্ষার অবসান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ডেলিভারি পেয়ে খুশি ক্রেতারা

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে Tork Motors গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ভারতে লঞ্চ করেছিল তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল‌৷ দুই ভ্যারিয়েন্টে এসেছিল সেটি – Kratos ও Kratos R। ২০১৬ সালে প্রদর্শিত হওয়ার কারণে আক্ষরিক অর্থেই দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম ইলেকট্রিক মোটরবাইক এটাই। এবার ডেলিভারি দিতে শুরু করল সংস্থা। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রাহকদের Tork-এর পুণের সদর দপ্তর থেকে Kratos R ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। ই-বাইকের চাবি হাতে পেয়ে খুশি তারা৷ বর্তমানে Tork Kratos ও Kratos R -এর ডেলিভারি কেবলমাত্র এই শহরেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে টর্ক মোটরস (Tork Motors)-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও কপিল সেলকি বলেন, “আমরা Kratos R-এর প্রথম ব্যাচের ডেলিভারি দিতে পেরে গর্বিত। বিগত কয়েক মাস টর্ক অতি কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পেরিয়েছে। প্রোডাকশন দলটি বহু নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছে এবং জোগান শৃঙ্খলের বৈষম্য দূর করতে বাড়তি খাটনি খেটেছে। যার ফলে পুণেতে Kratos R ডেলিভারি দেওয়া গিয়েছে। আমি গ্রাহকদের ধৈর্য্য, ভরসা এবং সমর্থন দেখে উল্লসিত।”

জানুয়ারিতে লঞ্চের পর থেকে গ্রাহকদের থেকে বুকিংয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছিল ভারতের প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। Tork Kratos-এর দাম রাখা হয়েছে ১,২২,৫০০ টাকা (এক্স-শোরুম) এবং এটি কেবলমাত্র সাদা রঙেই উপলব্ধ। অন্যদিকে Kratos R-এর মূল্য ১,৩৭,৫০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। এটি সাদা, নীল, লাল এবং কালো রঙে বেছে নেওয়া যায়। তবে এখন শুধু Kratos R-এর সাদা রঙের মডেলটি ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। বাকি তিনটি রঙের মডেল আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করবে সংস্থা। সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বাইক দুটির বুকিং করা যাচ্ছে।

কপিল সেলকি জানিয়েছেন, সংস্থার লক্ষ্য খুব শীঘ্রই প্রতি মাসে ২০০টি করে বাইকের ডেলিভারি দেওয়া। তাদের চাকানের কারখানা তৈরির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেটি সম্পূর্ণ হলে ডেলিভারি বাড়াতে সুবিধা হবে। সেই কারখানায় আগামী বছর জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ৩,৫০০-৪,০০০টি বাইক তৈরি হয়ে বেরোবে বলে জানান সেলকি। প্রসঙ্গত, Tork Kratos ও Kratos R-এ দেওয়া হয়েছে ৪ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। স্ট্যান্ডার্ড মডেলটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ কিমি এবং রেঞ্জ ১২০ কিমি। অন্য দিকে হাই-স্পেক ভ্যারিয়েন্টটির টপ স্পীড ১০৫ কিমি/ঘন্টা।