Toyota bz4X: গাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল, একটানা চলবে 500 কিমি, টয়োটার প্রথম EV প্রকাশ্যে

Toyota bz4X উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত৷ টয়োটা তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। বিদ্যুৎচালিত গাড়িটি গত বছরের এপ্রিলে কনসেপ্ট মডেল হিসেবে সামনে এসেছিল। সেই কনসেপ্ট মডেলের ডিজাইনের সাথে প্রোডাকশন-রেডি অবতারের বিশেষ ফারাক অবশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।

২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা “নেট জিরো’ বা শূন্যে নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর টয়োটা। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে Toyota bz4X বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। bz কথাটির অর্থ ‘Beyond Zero’৷ অর্থাৎ এটি টয়োটার জিরো এমিশন গাড়ির পরিচয়। ২০২৫-এর মধ্যে সাতটি bz ব্র্যান্ডিংযুক্ত ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করবে বলে জানিয়েছে অটোমোবাইল কোম্পানিটি।

Toyota-র প্রথম ইভি bz4X-এর ডিজাইন চোখে পড়ার মতো। একইসঙ্গে রয়েছে নানা অত্যাধুনিক ফিচার৷ এক নজরে সেগুলির ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।

দু’ধরনের পাওয়ারট্রেন ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ হবে Toyota bz4X। গাড়িটির FWD ভার্সনে থাকবে ৭১.৪ কিলোওয়াট ব্যাটারি প্যাক এবং একটি মোটর। যা ২০৪ পিএস পাওয়ার উৎপন্ন করবে এবং একটানা ৫০০ কিলোমিটার চলার শক্তি যোগাবে। ৮.৪ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ তোলা যাবে।

অন্য দিকে, Toyota bz4X বৈদ্যুতিক গাড়ির AWD ভ্যারিয়েন্টে দু’টো মোটর থাকবে। এটি ২১৮ পিএস পাওয়ার দেবে এবং ব্যাটারিটি এক চার্জে ৪৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত না থেমে চলতে পারবে। আরও দ্রুত গতি তুলবে এই গাড়ি৷ ৭.৭ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ উঠবে।

Toyota bz4X-এর ছাদে যে সোলার প্যানেল লাগানো রয়েছে, তা থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করার সুবিধা পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র সোলার রুফ থেকেই বছরে ১,৮০০ কিমি পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তি পাওয়া যাবে।