কোভিডের বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন Toyota, কারখানায় গাড়ি উৎপাদনের যাবতীয় কাজ বন্ধ করল

বিশ্বের অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি পেটেও মেরেছে এই কোভিড-১৯ (Covid-19) অতিমারি। এর জেরে গত পৌনে দুই বছরে বিশ্বের বহু সংস্থার দরজায় পড়েছে তালা।…

বিশ্বের অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি পেটেও মেরেছে এই কোভিড-১৯ (Covid-19) অতিমারি। এর জেরে গত পৌনে দুই বছরে বিশ্বের বহু সংস্থার দরজায় পড়েছে তালা। কর্মহীন হয়েছেন বিপুল সংখ্যক সংস্থার অগণিত কর্মী। গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঝাপটার পর অর্থনীতির বেহাল দশা যাওবা একটু আশার আলো দেখছিল, এবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানিতে সেই সামান্য আশাটুকুও ক্ষীণ হতে চলেছে। এরমধ্যেই সামনে এল অপর এক দুঃসংবাদ! এই ‘রাক্ষস’ করোনার প্রভাবে এবার বন্ধ হল Toyota Motor Corp কোম্পানির উৎপাদন। সরবরাহ, পরিচালন এবং উৎপাদনে দুরবস্থার কারণে জাপান এবং চীনের বেশ কয়েকটি নির্মাণ কেন্দ্রে গাড়ি নির্মাণ কিছুদিনের জন্য মুলতুবি রাখার কথা জানিয়েছে জাপানি সংস্থাটি।

আসলে সংক্রমনের সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে তার জেরে ব্যবসায় মন্দা যাওয়ার জন্যই এই ঘোষণা টয়োটা (Toyota)-র। চীনে এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সংস্থার গাড়ি উৎপাদন। সেন্ট্রাল জাপানের পাশাপাশি সুৎসুমি প্ল্যান্টেও তাদের দ্বিতীয় প্রোডাকশন লাইন স্থগিত রাখা হয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এর ফলে ১,৫০০ সংখ্যক গাড়ির উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে জাপানের আইচি প্রিফেকচার (Aichi Prefecture) স্থিত উৎপাদন কেন্দ্র যেখানে জনপ্রিয় সেডান গাড়ি Camry নির্মিত হয়, সেটিও আপাতত বন্ধ রয়েছে।

Toyota-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই শাটডাউনের ফলে জানুয়ারি মাসে তাদের ৪৭,০০০ ইউনিট গাড়ি কম উৎপাদিত হবে। করোনার প্রকোপের পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতার কারণে চলতি মাসে ১১টি ফ্যাক্টরি তিন দিন বন্ধ থাকায়, ২১টি অ্যাসেম্বলি লাইনের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এছাড়াও চীনের তিয়ানজিন-এর সরকার সেখানকার মানুষের করোনার গণ টেস্টের আয়োজন করায় সেখানকার উৎপাদন আপাতত বন্ধ। Toyota-র আক্ষেপ যে, চলতি চিপের আকাল এবং করোনার কারণে এই আর্থিকবর্ষে তাদের ৯ মিলিয়ন গাড়ি তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা তারা পূরণ করতে পারবে না।

অন্যদিকে অটোমেকার যেমন হন্ডা মোটর (Honda Motor Co.)-ও সম্প্রতি ঘোষণা করেছে তারা মি প্রিফেকচার (Mie Prefecture)-এর উৎপাদন কেন্দ্রটিতে সামনের মাস (ফেব্রুয়ারি) থেকে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে নির্মাণকার্য চালাবে। এই সংস্থাটিও কোভিডের মাথা তুলে দাঁড়ানো এবং সেমিকন্ডাক্টর চিপের আকালকেই দায়ী করেছে। একই সাথে নিসান মোটর (Nissan Motor), উপরিউক্ত দুই সংস্থার সাথে সুর মিলিয়ে জানিয়েছে যে, তারা ‘পুনর্লাভ’-এর জায়গায় রয়েছে।