হাইব্রিড গাড়ির জন্য ৯০-এর দশকের ব্যাটারি সেল প্রযুক্তির আধুনিকীরকণ করছে Toyota

হাইব্রিড (Hybrid), অর্থাৎ প্রথাগত জ্বালানির সঙ্গে বিদ্যুতে চলে এমন গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে টয়োটাকে (Toyota) সর্বদাই অগ্রগণ্য আখ্যা দেওয়া হয়। টয়োটার প্রিয়াস (Prius) মডেলের গাড়ি এখনও সংস্থার পাশাপাশি বিশ্বের বাজারে হাইব্রিড গাড়ির প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে গণ্য করা হয়। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, টয়োটা প্রিয়াসে যে ব্যাটারি সেল টেকনোলজি রয়েছে, তা ৯০-এর দশকে আত্মপ্রকাশ করেছিল।

প্রিয়াস-সহ এবার অন্যান্য হাইব্রিড গাড়িতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোগী হল টয়োটা। প্রিয়াস-এর প্রথম মডেলটি নিকেল-মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারি সহযোগে এসেছিল। তারপর সেটি টয়োটার নতুন বাইপোলার নিকেল হাইড্রাইড ব্যাটারি প্রযুক্তিতে উন্নীত করা হয়, যা চলতি বছরে আপডেটেড অ্যাকোয়া (Aqua) বা প্রিয়াস সি (Prius C) মডেলে প্রয়োগ করা হয়েছে।

টয়োটা ২০১৬ সালে এই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। সংস্থার দাবি, নতুন বাইপোলার ব্যাটারি প্রায় দু’শকের বেশি পুরনো প্রযুক্তির চেয়ে ১.৫ গুণ বেশি শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। এছাড়াও, একই জায়গায় ১.৪ গুণ অতিরিক্ত ব্যাটারি সেল ধরে বলে এনার্জি ডেনসিটিও অধিক।

প্রসঙ্গত, টয়োটা নতুন প্রজন্মের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়েও কাজ করছে। একইসঙ্গে, সলিড স্টেট ব্যাটারির প্রযুক্তির উপরেও কাজ করছে তারা, যা প্রথাগত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চেয়ে বেশি শক্তিশাশী বলেই দাবি টয়োটার গবেষকদের। সংস্থার মতে, কার্বন নিউট্রালিটি বা কার্বন নির্গমন শূণ্যে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্র অর্জনের জন্য হাতে একাধিক বিকল্প থাকা ভাল।