Car Safety Tips: পরিণতি যেন ভয়ঙ্কর না হয়, গাড়ি চালানোর সময় যে ভুলগুলি কখনই করবেন না

ভারতের মতো অধিক জনঘনবসতিপূর্ণ দেশে পথদুর্ঘটনা এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনহানি ঘটে রাস্তায়। এছাড়াও, বহু ক্ষেত্রে অঙ্গহানি কিংবা পঙ্গু হয়ে যাওয়ার…

ভারতের মতো অধিক জনঘনবসতিপূর্ণ দেশে পথদুর্ঘটনা এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনহানি ঘটে রাস্তায়। এছাড়াও, বহু ক্ষেত্রে অঙ্গহানি কিংবা পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা তো আছেই। ২০২১ সালেই দেশে প্রতি ঘন্টায় ১৮ জন সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন‌। প্রতিদিন যে হারে পথদুর্ঘটনা বাড়ছে, তাতে গাড়ি নিয়ে বাইরে বেরোলে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তাতে আপনি যেমন সুরক্ষিত থাকবেন, তেমনই যাত্রী এবং পথচারীরাও। তাহলে ড্রাইভিং করার সময় কোন ভুলগুলি একেবারেই করবেন না, একনজরে দেখে নিন।

সব সময় সিটবেল্ট বাঁধা

মনে রাখবেন গাড়ি চড়তে গেলে সর্বপ্রথম যেটি করণীয় তা অবশ্যই সিটবেল্ট বেঁধে নেওয়া। এটি সিটের সঙ্গে যাত্রীদের শক্ত করে বেঁধে রাখে বলে দুর্ঘটনার সময় অতিরিক্ত অভিধাতের জেরে সামনের দিকে ধাক্কা খাওয়ার থেকে বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। অল্প আঘাত দ্বারা রক্ষা পায় জীবন।

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা

অ্যালকোহল এমন এক পানীয় যা সরাসরি আমাদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে কব্জা করেন। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হয়। গাড়ি চালানোর সময় তাই চালককে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাই কোনো পরিস্থিতিতে মদ্যপান করা অবস্থায় গাড়ি স্টিয়ারিংয়ে বসা আর মৃত্যুকে আহ্বান করে আনা সমার্থক।

ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলা

আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সঠিকভাবে ট্রাফিক সিগনাল অনুসরণ না করা। ব্যস্ততম রাস্তায় সুস্থভাবে গাড়ি চলাচল করতে হলে ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলাটা আবশ্যক। অনেক চালক রয়েছেন যারা হলুদ সিগনাল থাকলে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে তা পার করার চেষ্টা করেন। এর ফল কিন্তু মারাত্মক। হলুদ সিগন্যালের অর্থ গাড়ির গতিবেগ কমিয়ে আনা আর লাল এর অর্থ পুরোপুরি থেমে যাওয়া। এই নিয়মকে কোনভাবেই অস্বীকার করবেন না।

সুনির্দিষ্ট গতিবেগে গাড়ি চালানো

কোনও পরিস্থিতিতেই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গতিবেগে গাড়ি চালাবেন না। মনে রাখবেন এ ক্ষেত্রে গাড়ির সামনে চলে আসতে পারে অন্য কোন গাড়ি কিংবা মানুষজন। তাই ব্রেক কষে গাড়িকে থামানো বেশ প্রায় অসম্ভব। শহরের মধ্যে ৪০কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ রাখা উচিত। আর হাইওয়েতে এর চেয়ে বেশি স্পিডে চালালেও, তা যেন থাকে নিয়ন্ত্রণাধীন।

তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ি চালানো নৈব নৈব চ

সাধারণত অতি ভোরে কিংবা সারারাত গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত ক্লান্তির জন্য ঝিমুনি ভাব অনুভূত হয়। এমতাবস্থায় তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামিয়ে ভালোমতো চোখে মুখে জল দিয়ে ও গরম পানীয় খেয়ে নিজেকে চাঙ্গা রাখা উচিত। তাতেও কাজ না হলে কোনোভাবেই গাড়ি চালানোটা নির্বুদ্ধিতার কাজ হতে পারে।