এবার ভারত সরকারের সাথে লড়াইয়ে Twitter! সরকারি নিষেধাজ্ঞার আপত্তি পৌঁছালো আদালত অবধি

মালিকানা বদলের পর (পড়ুন, ইলন মাস্ক Twitter কেনার পর) বারে বারে খবরের শিরোনামে আসছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম Twitter (টুইটার)। তবে এবার কনটেন্ট সরানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে সরাসরি সরকারের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল সংস্থাটি। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে Twitter। কারণ হল, সরকার এই প্ল্যাটফর্মটিতে বেশ কিছু কনটেন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল। আর এই নির্দেশিকাকে ভূমিকা করেই শুরু হয়েছে দু-পক্ষের যুযুধান লড়াই এবং মোদি সরকারকে জোর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে সংস্থাটি কর্ণাটক হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, Twitter কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের এই কনটেন্ট ব্লক করার নির্দেশের বিষয়ে একটি বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, গত একবছরে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে ভুল তথ্য পোস্ট, কেন্দ্রের করোনা মহামারি পরিস্থিতির সম্পর্কে সমালোচনা করে করা টুইট পোস্টসহ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত একাধিক পোস্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে টুইটার কর্তৃপক্ষকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিকে গত ৬ জুন ও ৯ জুন সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে টুইটারকে নতুন আইটি নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, নইলে তারা ইন্টারমিডিয়েটরি বেনিফিট পাবে না বলে ঘোষণা করেছিল সরকার।

এর পাশাপাশি টুইটার কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে একথাও বলা হয়েছিল যে, সরকারের নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিতেই আদালতে গিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে, ভারতবিরোধী বলে দাবি করে সরকার যে সমস্ত কনটেন্টকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে নিরর্থক। এই ধরনের পোস্টগুলি কোনোমতেই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মবিরুদ্ধ নয়, এবং বেআইনি তো একেবারেই নয়। আর এই ধরনের কনটেন্ট ব্লক করা হলে বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন করা হবে বলেও টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

অবগতির জন্য বলে রাখি, সরকার Twitter-কে নতুন আইটি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি উল্লিখিত কনটেন্টগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৪ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। তবে ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে এবং কেন্দ্রের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য সরাসরি আদালতে পৌঁছে গিয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে Twitter-এর সংঘাত আর কতদূর গড়াবে এবং এর ফলাফল যে কী হবে, তার উত্তর একমাত্র সময়ের কাছেই রয়েছে…