Aadhaar Card: আধার কার্ডধারীদের জন্য জরুরি খবর, অনলাইন ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক

আধার কার্ড (Aadhaar Card) এখন আর কেবল পরিচয়পত্রের প্রামাণ্য নথি নয়, বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রকল্প এবং পরিষেবা ব্যবহারের জন্য চলতি সময়ে এই কার্ডটিকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগান ইউজাররা। ব্যাঙ্কের কাজ থেকে শুরু করে রেশন তোলা, শিশুদের স্কুলে ভর্তি কিংবা কোভিড-১৯ টিকাকরণের শংসাপত্র সংগ্রহ করা – সবেতেই এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই (UIDAI) কর্তৃক জারি করা ১২ ডিজিটের এই কার্ড। এখানেই শেষ হয়, বাড়িতে পরিচারক রাখতে কিংবা বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় অথবা নিজস্ব সংস্থায় কর্মী নিয়োগের সময় পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে এখন ভারতীয় নাগরিকদের কাছ থেকে আধার কার্ড চাওয়া হয়। আবার, ইউজারদের কেওয়াইসি (KYC) ভেরিফিকেশনের জন্যেও বর্তমানে এই কার্ডের ব্যবহার বহুল পরিমাণে বেড়েছে। ফলে চলতি সময়ে আধারের ক্রমবর্ধমান উপযোগিতার জন্য গোটা দেশ জুড়ে এই কার্ডটিকে কেন্দ্র করে জালিয়াতি তথা প্রতারণার ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।

গোটা দেশে দুর্বার গতিতে বেড়ে চলেছে ভুয়ো আধার কার্ডের ব্যবহার

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হারে ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সবথেকে উদ্বেগের বিষয়টি হল, জঙ্গি বা নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য কিছু অসাধু ও সমাজবিরোধী মানুষ এই কার্ডটির সাহায্য নিচ্ছেন, যা নিতান্তই ভয়ঙ্কর চিন্তার বিষয়। আর কার্ডটিতে যেহেতু ব্যবহারকারীদের সবরকমের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাশাপাশি বায়োমেট্রিক ডেটাও শামিল থাকে, তাই সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার জন্য হালফিলে হ্যাকারদের একটি অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে আধার কার্ড। তাই এমত পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের কাছে থাকা আধার কার্ডটি আসল নাকি নকল, তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। সোজা কথায় বললে, কার্ডে উল্লিখিত ১২ ডিজিটের নম্বরটি আসল কি না, সেটাই মূল বিচার্য বিষয়। শুধু তাই নয়, প্রথমে যাচাই না করে কারোর কাছ থেকে পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে এই জাতীয় কোনো কার্ড গ্রহণ করাও উচিত নয়। সম্প্রতি ইউজারদের সতর্ক করতে এরকমই নির্দেশিকা জারি করলো ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

ভুয়ো আধার জালিয়াতি রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো UIDAI

ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, আধার লেটার, ই-আধার, আধার পিভিসি কার্ড এবং এম-আধার – ইউজারদের কাছে থাকা প্রতিটি ফর্ম্যাটই আসল নাকি নকল, তা ভেরিফাই করে নেওয়া একান্ত আবশ্যক। কারণ চলতি সময়ে ছদ্মবেশে অসাধু কার্যকলাপের জন্য বহুল সংখ্যক মানুষ এই কার্ডটির অপব্যবহার করছেন। সবসময় মনে রাখতে হবে, যে-কোনো ১২ ডিজিটের নম্বর মানেই কিন্তু সেটি আধার নম্বর নয়। তাই কারোর কাছ থেকে পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে এই কার্ডটি গ্রহণ করার আগে অবশ্যই সেটিকে অনলাইনে যাচাই করে নিতে হবে। বিশেষত নতুন সিম কার্ড কেনার সময়, ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবাগুলি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কিংবা কোনো হোটেলে চেক-ইন করার সময় ইউজাররা আসল আধার কার্ড জমা দিচ্ছেন কি না, তা চেক করে নেওয়া খুবই জরুরি। এবং কোনোভাবে যদি জানতে পারা যায় যে কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করছে, তবে নিঃসন্দেহে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং আধার আইনের (Aadhaar Act) ধারা ৩৫ (Section 35)-এর অধীনে অপরাধীকে বড়োসড়ো জরিমানার মুখোমুখি করা হবে।

কীভাবে আধার কার্ড যাচাই করবেন?

এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে অনলাইনে আধার কার্ড ভেরিফাই করা যাবে? সেক্ষেত্রে UIDAI-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, আধারের সমস্ত ফর্ম্যাটগুলিতে (Aadhaar letter, e-Aadhaar, Aadhaar PVC card, এবং m-Aadhaar) উপলব্ধ কিউআর (QR) কোডের মাধ্যমে যে-কোনো আধার নম্বর যাচাই করা যেতে পারে। এর জন্য ব্যবহারকারীদের এমআধার অ্যাপ (mAadhaar App) বা আধার কিউআর কোড স্ক্যানার (Aadhaar QR code scanner) ব্যবহার করতে হবে। উল্লেখ্য যে, QR কোড স্ক্যানারটি গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোর (Apple App Store)-এ বিনামূল্যে উপলব্ধ রয়েছে। এছাড়া, উইন্ডোজ (Windows) ভিত্তিক ডিভাইসেও এই স্ক্যানারটি সম্পূর্ণ নিখরচায় ব্যবহার করা যাবে।