ব্রেকিং: Xiaomi সহ নয়টি চীনা কোম্পানিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করলো ট্রাম্প প্রশাসন

চীনের বিরুদ্ধে প্রায় গোটা বিশ্বের অসন্তোষ নতুন নয়। নাগরিকদের স্বার্থ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতে ইতিমধ্যেই ব্যান করা হয়েছে চীনের একাধিক অ্যাপ। চীনা সরকারকে তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকাতেও ব্যবসা করতে পারছেনা Huawei। এই অবস্থায় মার্কিন প্রশাসন আরও নয়টি কোম্পানিকে চীনা সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক থাকায় ব্ল্যাক লিস্ট করেছে। এই নয়টি কোম্পানির মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমিও (Xiaomi) অন্তর্ভুক্ত।

রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আর এই ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। তাদেরকে শাওমির মত কোম্পানির শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ কিনতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি পুরানো সমস্ত চুক্তি ১১ নভেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে তুলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এখনও কোন প্রমাণ দেয়নি যে কিভাবে Xiaomi বা অন্যান্য কোম্পানি চীনা সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত আছে। এই ঘটনা যে শাওমির জন্য আকস্মিক এবং বেশ অপ্রত্যাশিত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ ধীরে ধীরে শাওমি বিশ্বের একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হয়ে উঠছিল।

এর আগেও আমরা ট্রাম্প প্রশাসনকে একই কাজ করতে দেখেছি। আমেরিকার টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে গতবছর থেকেই নিষিদ্ধ হুয়াওয়ে। আবার সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোম্পানিদের সাথে SMIC ব্যবসা করতে পারবেনা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ৬০টিরও বেশি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ড্রোন নির্মাতা DJI ।

যাইহোক, আপনাকে জানিয়ে রাখি এই ব্ল্যাক লিস্ট হুয়াওয়ের ব্যান থেকে আলাদা। কারণ শাওমিরা এখনও লাইসেন্স ছাড়াই মার্কিন কোম্পানিগুলির প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। প্রসঙ্গত বাইডেন ২০ জানুয়ারি থেকে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হবেন। সেক্ষত্রে তিনি এই ব্ল্যাকলিস্ট কে মান্যতা দেন কিনা সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *