বদলে যাবে Vivo ফোনের ইন্টারফেস, আসছে নতুন Origin OS

স্মার্টফোন বাজারে একটি জনপ্রিয় নাম Vivo। আর পাঁচটা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মতই Vivo-ও এন্ট্রি-লেভেল, মিড রেঞ্জ এবং ফ্ল্যাগশিপ ফোন তৈরি করে এবং সেগুলিতে নিজস্ব কাস্টম স্কিন…

স্মার্টফোন বাজারে একটি জনপ্রিয় নাম Vivo। আর পাঁচটা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মতই Vivo-ও এন্ট্রি-লেভেল, মিড রেঞ্জ এবং ফ্ল্যাগশিপ ফোন তৈরি করে এবং সেগুলিতে নিজস্ব কাস্টম স্কিন FuntouchOS ব্যবহার করে। তবে বেশ কয়েকদিন আগেই চীনা সংস্থাটি জানিয়েছিল, আগামী দিনে তারা এই বিশেষ কাস্টম স্কিনটি বন্ধ করে দেবে। পরিবর্তে Vivo স্মার্টফোনে দেখা যাবে Origin OS নামের নতুন ইউজার ইন্টারফেস বা UI। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ১৯শে নভেম্বর থেকেই এই পরিবর্তন কার্যকরী হতে চলেছে। আজ সংস্থাটি, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Weibo-তে এই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, ১৯ তারিখের বিশেষ VDC (ভিভো’স ডেভেলপার কনফারেন্স) 2020 ইভেন্টে এই নতুন কাস্টম স্কিনটি লঞ্চ করা হবে।

প্রথমেই বলে রাখি, এই Origin OS তৈরি করেছে অরিজিন স্টুডিও নামের একটি জনপ্রিয় ডেভেলপার সংস্থা। FunTouchOS এবং Origin OS-এর মধ্যে পার্থক্য হল, Origin OS-টি অনেকটা স্টক অ্যান্ড্রয়েডের মত অপারেটিং সিস্টেমের মত হবে। ফলে এটিকে খুব বেশি কাস্টমাইজ করা যাবেনা এবং এর কাস্টমাইজেশন ততটাও জটিল হবেনা।

তবে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে, ভিভো ফোনগুলিতে একটি বিশেষ টগল স্যুইচ থাকতে পারে যার সাহায্যে ইউজাররা ইচ্ছেমত মডিফায়েড ভার্সন এবং ক্লিনার ভার্সনটি ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন নামের টিপস্টারের মতে, অরিজিন ওএস-টি বেশ ডেভেলপড, ফলে এই কাস্টম স্কিনটি ইউজারদের মজাদার এক্সপিরিয়েন্স দিতে পারে। এটি আসলে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ইউআই-এর একটি কাস্টমাইজেশন ভার্সন হতে চলেছে।

তবে শুধু Vivo নয়, এর আগে অন্য কিছু স্মার্টফোন ব্র্যান্ডও সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ইউআই ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। Motorola এবং Nokia-র স্মার্টফোনগুলির অপারেটিং সিস্টেম এমনিতেই বেশ সাধারণ এবং এতে ন্যূনতম কাস্টমাইজেশন রয়েছে। তবে এখন অনেকেই Samsung-এর OneUI বা Xiaomi-র MIUI ব্যবহার করে অভ্যস্থ, যাতে প্রচুর মজাদার কাস্টমাইজেশন রয়েছে। পাশাপাশি সংস্থাগুলি প্রায়ই তাদের কাস্টম স্কিনগুলিতে নতুন আপডেট যোগ করে। তাই ডিভাইসে সাধারণ ইন্টারফেস থাকলে, গ্রাহকরা কতটা সন্তুষ্ট হবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে যাইহোক, Origin OS-এর বৈশিষ্ট্য জানতে বা ভালো খারাপ বিচার করতে আমাদের এখনো লঞ্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে!