রোদ পড়লে Vivo V23 5G স্মার্টফোনের রঙ কীভাবে বদলে যায়? জেনে নিন এর পিছনে কী কী প্রযুক্তি রয়েছে

সম্প্রতি মার্কেটে পা রেখেছে মিড-রেঞ্জের Vivo V23 5G (ভিভো ভি২৩ ৫জি), এবং আসা মাত্রই রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে স্মার্টফোনটি। কারণ এটিই প্রথম স্মার্টফোন যা রৌদ্রে রঙ পরিবর্তন করে, ফলে আপনি একটি স্মার্টফোনে বিভিন্ন রঙ দেখতে পাবেন। এই অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যের জন্য খুব স্বাভাবিকভাবেই স্মার্টফোনটিকে নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে।

কীভাবে ফোনটি রঙ বদল করছে, এর পিছনে কী প্রযুক্তি রয়েছে, আর সবথেকে বড়ো প্রশ্নটি হল – স্মার্টফোনটিতে যদি এমন হাইটেক প্রযুক্তি থেকে থাকে, তাহলে তার দাম কম কীকরে হয়? আপনার মনেও নিশ্চয়ই এই ধরনের হরেক রকমের প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। তাই আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনার জন্য Vivo V23 5G নিয়ে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসেছি, যাতে আপনার মনে ফোনটিকে কেন্দ্র করে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে এবং সেইসাথে আপনার সমস্ত কৌতূহল মিটে যায়।

আপনি যদি ভাবেন ভিভো ভি২৩ ৫জি-এর রঙ বদলের পিছনে কোনো বিশেষ প্রযুক্তি রয়েছে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। এই ফোনটিতে কোনো ব্যয়বহুল টেকনোলজি নেই, যে কারণে এর দামও আওতার মধ্যে রয়েছে এবং চাইলেই অধিকাংশ মানুষই এটি কিনতে পারেন (দাম শুরু ২৯,৯৯০ টাকা থেকে)। আসলে ব্যাপারটা হল, এই স্মার্টফোনের ব্যাক প্যানেলে রঙ পরিবর্তনকারী ফ্লোরাইট এজি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এই গ্লাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, যখন সূর্যের রশ্মি (আলো) তার উপর পড়ে, তখন এটি তা শোষণ করে নেয় এবং তৎক্ষণাৎ রঙ পরিবর্তন করে। তাই যতক্ষণ আপনি সূর্যের আলোয় থাকবেন, ততক্ষণ এটিকে পরিবর্তিত রঙে দেখতে পাবেন।

কিন্তু যে মুহুর্তে আপনি রোদ থেকে বেরিয়ে এসে কম আলোর কোনো জায়গায় পৌঁছোবেন, ঠিক তখনই নিজের স্বাভাবিক রঙে চলে আসে এই স্মার্টফোন। আসলে অতিবেগুনি রশ্মির কারণে এই গ্লাস তার রঙ পরিবর্তন করে এবং এটি অন্যান্য অনেক প্রোডাক্ট তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। তবে কেবল সূর্যের আলো পড়লেই যে এটি রঙ পরিবর্তন করবে তা কিন্তু নয়, কৃত্রিম অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শেও এটি রঙ বদলাতে পারে। তাই যদি আপনি এমন কোনো জায়গায় থাকেন যেখানে আল্ট্রাভায়োলেট লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে এই স্মার্টফোন আবার নিজের রঙ বদলে নেবে।

ফলে অধিকাংশ লোক যদিও মনে করেন যে এই ফোনটি তৈরির ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে বাস্তব সত্যটা কিন্তু একেবারেই আলাদা। শুধুমাত্র একটি সূক্ষ্ম বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের মাধ্যমে কোনো ব্যয়বহুল প্রযুক্তি ছাড়াই এরকম অসাধারণ ফিচারসম্পন্ন একটি ফোন মার্কেটে এসেছে, যা নিঃসন্দেহে এক অভাবনীয় ব্যাপার। তাই একটি ফোন কিনে দুটি ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পাঠকরা কিন্তু এই হ্যান্ডসেটটি কেনার কথা ভেবে দেখতে পারেন।